আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শেষপর্যন্ত ঐক্যমত্যে পৌঁছানো গেল। রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। খবর ডয়চে ভেলে’র।
রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সোমবার রাতে ইইউ-র ২৭টি দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছায়। এর ফলে রাশিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ তেল ইউরোপে আসা বন্ধ হয়ে গেল। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল টুইট করে জানিয়েছেন, যুদ্ধের জন্য যে বিপুল খরচ হয়, তার একটা বড় অর্থ রাশিয়া তেল বিক্রি করে রোজগার করে। ইইউ-র এই সিদ্ধান্তের ফলে রাশিয়ার যুদ্ধের খরচে টান লাগবে বলে মনে করছেন তারা।
রাশিয়ার স্বারব্যাংকের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত এদিন চূড়ান্ত হয়েছে। ঠিক হয়েছে সুইফট কোড থেকে ওই ব্যংকের নাম বাদ দেওয়া হবে। এর ফলে ওই ব্যাংক আর কোনো আন্তর্জাতিক লেনদেন করতে পারবে না।
ষষ্ঠ নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ছয় নম্বর প্যাকেজ তৈরি করেছে ইইউ। বেশ কিছুদিন আগে তা তৈরি হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত প্যাকেজটি প্রয়োগ করা যায়নি। সেই প্যাকেজে একাধিক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে তেলের উপর এমবার্গোর কথা বলা হয়েছিল। ২৭ দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নে বেশ কিছু দেশ এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হতে পারছিল না। যার নেতৃত্ব দিচ্ছিল হাঙ্গেরি। সোমবার দুপুরে ইইউ-র অন্যতম নেতা জোসেপ বরেল জানান, এদিন দুপুরেই বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে। শেষপর্যন্ত রাতের দিকে সকলে ঐক্যমত্যে পৌঁছায়।
হাঙ্গেরির বক্তব্য
হাঙ্গেরি তেলের উপর উপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছিল। হাঙ্গেরির সঙ্গে যোগ দিয়েছিল স্লোভাকিয়া, চেক রিপাবলিক এবং বুলগেরিয়া। হাঙ্গেরির বক্তব্য, দেশের ৬০ শতাংশ তেল তারা রাশিয়ার থেকে নেয়, ৮৫ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়া রপ্তানি করে। ফলে রাতারাতি তা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। ইইউ তখন তাদের বিকল্প প্রস্তাব দেয়। বলা হয়, জাহাজে করে যে তেল আসে তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। কিন্তু পাইপলাইনের তেল নেয়া যাবে। এর ফলে রাশিয়ার তেল রপ্তানি দুই-তৃতীয়াংশ মার খাবে বলে ইইউ-র বক্তব্য।
হাঙ্গেরি এবং অন্য দেশগুলি ইইউ-র এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। তবে হাঙ্গেরি জানিয়েছে, যদি কোনো কারণে পাইপে তেল আসা বন্ধ হয় বা আটকে যায়, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া যাবে। প্রয়োজনে জাহাজের তেলও নেয়া যাবে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইইউ-র এই নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া য়েমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমন ইউরোপ-সহ বিশ্বও সমস্যায় পড়বে। ইউরোপে তেলের দাম বাড়তে শুরু করবে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামের মতো দেশকে এর জন্য বিপুল খরচ করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।