জুমবাংলা ডেস্ক : রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে ফাঁসির দণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়ার ৩ বছর পরে ফের হত্যা মামলার প্রধান আসামী হয়েছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আসলাম ফকির।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসলাম ফকির ২০০৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম সাহেদ আলী ওরফে সাহেব আলী মিয়াকে হত্যা করেন। সেই ঘটনায় তার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। তবে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহর তৎপরতায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার ৩ বছরের মাথায় এবার ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের শহীদ মাতুব্বরকে খুনের অভিযোগ সরাসরি আসলাম ফকিরের বিরুদ্ধে। এই হত্যা মামলায় আসলাম ফকিরকে প্রধান আসামি করে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটায় লক্ষ্মীপুর গ্রামে বাড়ির বৃষ্টির টিনের পানি আরেক বাড়িতে পড়া নিয়ে আবারও দুদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর আসলাম ফকির ও তার সঙ্গীদের সঙ্গে একই এলাকার শাজাহান মাতুব্বরের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে আসলাম ফকিরের লোকজন শাজাহান মাতুব্বরের সমর্থক শহীদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। শহীদ পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে মারা যান। তিনি একজন কৃষক ছিলেন। তিনি নিক্সন চৌধুরীর কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, একটি ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসলাম ফকিরের নেতৃত্বে এত বড় সংঘর্ষ হয়। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি যা ইচ্ছা তা-ই করছেন। তিনি থানা-পুলিশ কাউকে পরোয়া করেন না। তার বিরুদ্ধে আগেও থানায় অভিযোগ এসেছে। মূলত স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে।
তিনি বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি আসলাম ফকির পলাতক। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।