নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য ১০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসাথে বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য ১৩ হাজার৭৪৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছর কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান জানান, সরকার কৃষি ও কৃষিবান্ধব নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যের তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনটি অগ্রাধিকার বিষয় হলো দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা মুক্তি ও সুস্বাস্থ্য অর্জন।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি টাকাকৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। এটা ছিল মোট লক্ষ্যমাত্রার ১০৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বিগত অর্থবছরে ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৪ জন কৃষকের মাঝে এই ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৬ হাজার ৩২২ কোটি টাকা এবং চর, হাওড় ও অনগ্রসর এলাকায় ৯ হাজার ৯৫০ জন কৃষক প্রায় ৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।
এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, এবার কৃষি ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন বিষয় সংযোজন করা হয়েছে সেগুলো হলো, ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব শাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ, কাজুবাদাম চাষে ঋণ প্রদান, রাম্বুটান চাষে ঋণ প্রদান, কচুরিপানায় ডাবল বেড পদ্ধতিতে আলু চাষ। এছাড়াও গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ এবং ছাগল ভেড়া পালনের জন্য ঋণ প্রদান, বাণিজ্যিকভাবে রেশম উৎপাদন। এছাড়াও শস্য/ফসল উৎপাদনের জন্য একর প্রতি ঋণ বিতরণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।