জুমবাংলা ডেস্ক : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি, পর্ষদে পরিচালক নিয়োগ এবং পর্যবেক্ষক দিয়েও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ কমাতে পারছে না। অন্যদিকে আইএমএফের ঋণের শর্ত মেনে সরকারি চার ব্যাংককে চলতি জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ ১২ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে মার্চ পর্যন্ত কোনো (সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক) ব্যাংকের খেলাপি ঋণ এই সীমার মধ্যে আসেনি।
কোন কৌশলে খেলাপি ঋণ কমানো হবে, সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় সরকারি বেশির ভাগ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ উল্টো বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বের প্রান্তিকে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা, যা মার্চ প্রান্তিক শেষে বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা।
তিন মাসে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩১৪ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৯৩ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।
তবে বিপরীত ছিল সরকারি অগ্রণী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি (বিডিবিপি)। এই তিন মাসে অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬১২ কোটি টাকা কমে হয়েছে ২০ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আর বিডিবিপির খেলাপি ঋণ ১২০ কোটি টাকা কমে হয়েছে ৮৭৩ কোটি টাকা।
মার্চ প্রান্তিক শেষে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বেসিক ব্যাংকের ৬৩ শতাংশ, জনতা ব্যাংকের ৩১ শতাংশ, অগ্রণী ব্যাংকের ২৮ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ২১ শতাংশ ও বিডিবিপির ৩৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।