বিনোদন ডেস্ক : সিনেমার দৃশ্য নয়, বাস্তবেই ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নুডলস খেলেন টালি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নাতনী রাইমা সেন। আর তাকে চিনতেও পারলেন না দোকানী। আশেপাশে যখন ভিড় জমে গেলো তখনও নাকি কোনও হেলদোল নেই ওই দোকানীর!
গেল বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার বিধাননগরের ফুটপাতে নুডলস বিক্রেতা কমলাকান্ত দাসের দোকানে যান রাইমা সেন। এক প্লেট নুডলস দোকানে দাঁড়িয়েই সাবাড় করেন তিনি। আর এক প্লেট নিয়ে যান পার্সেল।
এই সময়টুকুতেই ভিড় জমে যায় ছোট্ট দোকানটিতে। কিন্তু কোনও বিকার নেই দোকানী কমলাকান্তের। নিজের কাজেই ব্যস্ত তিনি। ওমলেট ভাজছেন, চা করছেন। আর মাঝেমধ্যে গজর গজর করে বলছেন, “বুঝিনা বাবা। সুন্দরী দেখলেই সবাই কেমন হামলে পরে।”
চোখের বালি-র আশালতাকে চিনতে পারেননি কমলাকান্ত ওরফে নান্টু। তিনি ভেবেই নিয়েছিলেন, এলাকার কোনও সুন্দরী তার দোকানে এসেছেন, আর তাই দেখতেই লোকে ভিড় করেছে। কিন্তু যখন জানতে পারলেন, রাইমা সেন তার দোকানে উপস্থিত তখন নাকি আকাশ থেকে পড়লেন তিনি। বললেন, “সুচিত্রা সেনের নাতনি আমার দোকানে এতক্ষণ থাকলেন? এত কথা বললেন। মাস্ক খুলে খেলেন। তাও আমি চিনতে পারলাম না!”
কিন্তু তখন আর আফসোস ছাড়া কিছুই করার নেই কমলাকান্তর।
ওদিকে আশপাশের দোকানদাররা অবশ্য বলে চলেছেন, “তোর দোকানের সেল তো কাল থেকে চারগুণ বেড়ে যাবে রে কমলা।”
এতেই নাকি চোখে মুখে হাজার ওয়াটের আলো জ্বলে উঠল কমলাকান্তের।
বললেন জানালেন, “একবার দেবকে চা খাওয়ানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। এবার রাইমাকে নুডলস খাওয়ালাম। সত্যি আমি ভাগ্যবান। এখন বুঝতে পারছি, কেন সবাই ছবি তোলার জন্য হামলে পড়ছিল।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।