আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে বহুল বিক্রীত বইয়ের একটি, ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’। সম্প্রতি বইটির লেখক জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তিত্ব রবার্ট কিয়োসাকি জানিয়েছেন, তাঁর ঋণের পরিমাণ ১২০ কোটি ডলারেরও বেশি। কিন্তু এত ঋণের পরও কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক রিলসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন কিয়োসাকি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ১২০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিয়েও চিন্তিত নন কিয়োসাকি। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা রিলসে তিনি ঋণ এবং দায়ের বিষয়ে তাঁর দর্শন নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, অনেক মানুষই ঋণ করেন মূলত দায় কেনার জন্য, কিন্তু তিনি কিনেছেন সম্পত্তি। উদাহরণ হিসেবে দেখান, তিনি যেসব বিলাসবহুল গাড়ি যেমন—ফেরারি, রোলস রয়েস কিনেছেন নগদ টাকায়। এগুলো তাঁর দায়, সম্পত্তি নয়।
রিলসে কিয়োসাকি টাকা জমানোর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। এ সময় তিনি ইঙ্গিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের আমলে সোনা থেকে ডলারের তুল্য মান আলাদা করার বিষয়টিকে। তিনি বলেন, ‘আমি নগদ টাকা জমানোর চেয়ে সোনা জমানোকে বেশি গুরুত্ব দিই।’
এ সময় তিনি আরও জানান, তিনি তাঁর যাবতীয় আয়ই সোনা ও রুপায় পরিণত করেছেন। মূলত এই সোনা ও রুপা দেখিয়েই তিনি ১২০ কোটি ডলার ঋণ সংগ্রহ করেছেন বলেও জানা গেছে এবং এ জন্য তিনি তাঁর আয়কে সোনা বা রুপায় পরিণত করার কৌশলকেই এই ঋণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এই অবস্থায় আমি যদি দেউলিয়া হয়ে যাই, তাহলে ব্যাংকও দেউলিয়া হয়ে যাবে। এটা আমার কোনো সমস্যা না।’
ইনস্টাগ্রামে ‘ডিজরাপ্টরস’ ম্যাগাজিনের এক পডকাস্টে কিয়োসাকি আগেও জানিয়েছিলেন, তাঁর শতকোটি ডলার ঋণ রয়েছে। তিনি সেই পডকাস্টে বলেছিলেন, ‘আমার শতকোটি ডলার ঋণ আছে, কারণ আমার কাছে ঋণ মানেই টাকা।’ ওই পডকাস্টে তিনি ভালো ঋণ ও মন্দ ঋণেরও সংজ্ঞা দেন। তিনি জানান, ভালো ঋণ নিয়ে তাঁর সম্পদ এবং আয় বাড়িয়েছেন।
উল্লেখ্য, রবার্ট কিয়োসাকি ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বেশ দক্ষ। বিষয়টিই তিনি তাঁর লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বই ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বিশ্বজুড়ে ৪ কোটি কপিরও বেশি বিক্রি হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।