স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুতেই ক্যাচ মিস করেছেন বাংলাদেশের উইকেটককিপার নুরুল হাসান। যার খেসারত দিচ্ছে টাইগাররা, সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নে অন্ধকার নেমে আসছে।
পাকিস্তান ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন পাকিস্তান ওপেনার রিজওয়ান। তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচটি ফেলে দেন উইকেটককিপার নুরুল হাসান। যার ফলে পরের বলেই ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন রিজওয়ান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ১০.২ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান। বেঁচে যাওয়া রিজওয়ান ৩২ ও অধিনায়ক বাবর আজম ২৫ রানে অপ্রাজিত রয়েছেন।
এর আগে ইনিংসে প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাস ১০ রান করে ফিরলেও বাংলাদেশকে চালকের আসনেই রাখেন শান্ত এবং সৌম্য। তারা দুজনে ৫২ রানের জুটি গড়েন। সৌম্য ২০ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। দলীয় ৭৩ রানে সৌম্যের বিদায়ের পর এক প্রকার তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংস।
সৌম্য ফেরার পরের বলেই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন সাকিবও। এরপর ফিফটি পূর্ণ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শান্ত। আউট হওয়ার আগে ৭ চারে ৫৪ রান করেন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর এক আফিফ ছাড়া অন্য কোনো টাইগার ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেনি। মোসাদ্দেক ১০ বলে ৫ রান করে ফেরেন। সোহান তো রানের খাতাও খুলতে পারেননি।
তাসকিন ফেরেন ১ এবং নাসুম করেন ৭ রান। একপ্রান্তে ২০ বলে অপরাজিত ২৪ রান করে বাংলাদেশকে সম্মানজনক স্কোর এনে দিয়ে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন আফিফ।
পাকিস্তানের পক্ষে আফ্রিদি ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে নেন ৪ উইকেট। এ ছাড়াও শাদাব খান ২টি এবং হারিস রউফ ও ইফতিখার আহমেদ নেন ১টি করে উইকেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।