রিজার্ভ আবারো ২০ বিলিয়নের নিচে

রিজার্ভ কমল

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভজুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারো ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার ছিল। হুন্ডি প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমাসহ বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাধারণত প্রতি বছর রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। এসময় প্রবাসীরা তাদের পরিবার পরিজনের জন্য বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠান। তবে এবার তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। গত মার্চে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাস বা আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় বেশ কিছুটা কম।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সোয়াপ পদ্ধতি চালু করার পর থেকে ব্যাংকগুলো বেশি দরে আর ডলার কিনছে না। এতে ডলারের দরও অনেকটা কমে এসেছে। এতে ১২৫ টাকায় উঠে যাওয়া ডলারের দর হঠাৎ করে ১১৫ টাকায় নেমে আসে। ফলে প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে আবার হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন। কারণ হুন্ডিতে এখনও ১২৩ টাকা পাওয়া যাচ্ছে।

সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট এক হাজার ৭০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৬০৪ কোটি ডলার। এ হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০৪ কোটি ডলার বা ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর থেকে ডলার সঙ্কট কাটাতে গিয়ে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কমতে–কমতে গত নভেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবার বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। এরপর কমতে–কমতে গত মার্চ শেষে ১৯ দশমিক ৯১ বিলিন ডলারে নেমেছিল। এরপর গত সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।

‘ভারত বর্জন’ প্রচারণায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না : শ্রিংলা