জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন সাক্ষী। রোববার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আছাদুজ্জামান তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সাক্ষী তিনজন হলেন রিফাতের প্রতিবেশী আবদুল হাই, সজল এবং হারুন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিন সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের ১০ আইনজীবী। এ নিয়ে মামলার ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করলেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আছাদুজ্জামান।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ভুবন চন্দ্র হালদার বলেন, রোববার রিফাত হত্যা মামলার তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সোমবার একই আদালতে আরো তিন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। পাশাপাশি অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদেরও সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিন রয়েছে সোমবার।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত হত্যাকা- ঘটে। গত ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো: মুসা এখনো পলাতক রয়েছে।
এছাড়া রিফাতের স্ত্রী মিন্নি, অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা, মারুফ মল্লিক এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ জামিনে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো: হাসান, মো: মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো: সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
এছাড়া অপ্রাপ্তবস্ক আসামিরা হলেন, মো: রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, মো: রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো: আবু আবদুল্লাহ রায়হান, মো: ওলিউল্লাহ অলি, জয় চন্দ্র সরকার চন্দন, মো: নাইম, মো: তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, মো: সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ মহিবুল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল সিকদার জয় এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।