রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর নাম সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আজকের তুরস্কের জনপ্রিয় নেতা হয়ে ওঠার পথটি তার জন্য সহজ ছিল না। তিনি ছোটবেলায় রুটি এবং লেবুর শরবত বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একটা সময় তিনি ফুটবলার হতে চেয়েছিলেন।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন সুবিধাজনক ছিল না। তিনি তার বাবার কাছ থেকে সামান্য কিছু হাত-খরচ পেতেন। বই পড়ায় তারা যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। কলেজে ওঠার আগেই নিজের উপার্জনের অর্থ দিয়েই ব্যক্তিগত লাইব্রেরী গড়ে তুলেছিলেন।
ফুটবলার হিসেবে তিনি চাকুরি করতেন। ইস্তাম্বুল ফুটবল ক্লাবে তিনি খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। পরে জাতীয় দলের জন্য তিনি নিবন্ধিত হন। তবে বাবার অস্বীকৃতির কারণে তিনি আর ফুটবল খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি।
পরবর্তী সময় তিনি ইস্তাম্বুলের মার্মারা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিনি পৌরসভার মেয়র হতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইসলামি ধরার রাজনৈতিক দল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
১৯৯৯ সালে একটি জনপ্রিয় জাতীয়তাবাদী কবিতা পাঠ করার জন্য এরদোয়ানের চার মাসের জেল হয়েছিল। ২০০১ সালে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নামে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। ২০০৩ সালে এ দল থেকেই ২৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সেই সময় থেকে এখনো পর্যন্ত তিনি দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ক্ষমতায় আসীন রয়েছেন। ২০১৪ সালে সরাসরি জনগণের ভোটে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত হন তিনি। ২০০৩ সালে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
এরদোয়ানের অনেক সমর্থক তাকে সুলতান হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। ২০১৬ সালের অভ্যুত্থান রুখে দেওয়ার জন্য এরদোয়ান বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। মধ্যপ্রাচ্য সহ মুসলিম দেশের সাথে তুরস্ক এখন ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।