বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (
শুক্রবার এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবে অনুষ্ঠিত এজিএম উপস্থিত ছিলেন মিশা, জায়েদের পাশাপাশি সহ-সভাপতি রিয়াজ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অঞ্জনা, নাসরিন, জেসমিনসহ প্রায় দুই শতাধিক সাধারণ সদস্য।জানা গেছে এজিএম চলাকালীন সময় হুট করে রাগ হয়ে স্থান ত্যাগ করেন সহ-সভাপতি রিয়াজ।
বিষয়টি নিয়ে রিয়াজ বলেন, সমিতিতে যা হচ্ছে তা নিয়ে বলার ভাষা নেই। কেমন একটা একনায়কতন্ত্রভাব।সবকিছুতে সভাপতি আর সেক্রেটারিই যেন মুখ্য! সব অর্জন কী তাদের দুজনের? তারা দুজন কি একা একা জয়ী হতে পারতেন বা দুটা বছর একাই চলতে পারতেন?
এদিকে শুক্রবারের ঘটনার পরিপেক্ষিতে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে জায়েদ খান বলেন, আসলে বিষয়টি যেমন ভাবে রটানো হচ্ছে তেমন কিছুই হয়নি। প্রতিটি সংগঠনের কিছু নিয়ম থাকে। আমরা এজিএম শুরু করার আগেই বলে দিয়েছি কারও কিছু বলার থাকলে সভাপতির অনুমতি নিয়ে বলতে হবে। আমরা সদস্য যারা ছিলো সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু রিয়াজ ভাই হুট করে মঞ্চে উঠে বলতে শুরু করে যে উনি কথা বলতে চান। তখন অন্য আরেক জন কথা বল ছিলেন মাইকে। স্বাভাবিক বিশৃংখলা এরাতেই আমরা তাকে পরে কথা বলার অনুরোধ করি। কেননা উনাকে কথা বলতে দিলে তখন বাকি যারা কমিটিতে ছিলো সবাই কথা বলতে চাইতো। তাই ভাইকে বলা হয়ে ছিলো পরে কথা বলার জন্য। কিন্তু তিনি বিষয়টি না বুঝতে পেরে রাগ করে বের হয়ে যায়।
জায়েদ খান আরও বলেন, রিয়াজ ভাইয়ের মত সিনিয়র শিল্পীর কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করিনি। ভাইকে আমরা অনেক সম্মান করি। আমরা গতবার নির্বাচিত হওয়ার পর দুস্থ শিল্পীদের কল্যাণে একটি তহবিল করেছি। যেটি বিভিন্ন জায়গায় প্রোগ্রাম করে ফান্ড কালেক্ট করা হত। সেখানে অনেক শিল্পই ফ্রিতে কাজ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় রিয়াজ ভাই সেই প্রোগ্রামের টাকাটাও নিয়ে গেছে।
এদিকে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। কিন্তু হুট করেই অভিযোগ উঠেছে যে তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে উপর মহল থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, ‘শিল্পীরা স্বাধীন। আর উপর মহল কী বা কারা সেটা তাদের একটু বলতে বলুন। আসলে এসবই ভিত্তিহীন কথা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।