বিজনেস ডেস্ক: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে লেনদেনে ডলার ও প্রভাবশালী অন্যান্য মুদ্রা এড়িয়ে চলার জন্য স্থানীয় রফতানিকারকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ভারতের শীর্ষ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়া (এসবিআই)। এসব মুদ্রার পরিবর্তে রুপি ও টাকায় লেনদেন সম্পন্নের জন্য রফতানিকারকদের অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাংকটি। সংশ্লিষ্ট নথি ও সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এ মুহূর্তে বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে রিজার্ভ কমে আসার বিষয়টিও।
এসবিআইয়ের শাখাগুলোয় সম্প্রতি পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার অবমূল্যায়নের কারণে দেশটি এখন বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির আশঙ্কায় রয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে লেনদেনে ডলার ও অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, তবে দ্বিপক্ষীয় লেনদেনে ভারতীয় রুপি ও টাকার ব্যবহার চলমান থাকবে।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে লেনদেনে কোনো ধরনের ঝুঁকি বাড়াতে চাচ্ছে না এসবিআই। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ওই সূত্র বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের লেনদেনে পাওনার পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি ডলার এবং দেশটির অর্থনীতি-সংক্রান্ত নানা খবরের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটিকে আর আগ্রাসীভাবে বাড়তে দেয়া যাবে না এবং প্রয়োজন হলে তা আরো কমিয়ে আনা যাবে।
বিষয়টি নিয়ে এসবিআইয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত সপ্তাহেই জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ এখন ডলারনির্ভরতা কমাতে চাইছে। এছাড়া স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন করার ক্ষেত্রেও কোনো ধরনের সমস্যা দেখছে না বাংলাদেশ।
তবে ভারতের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
গত সপ্তাহেই ব্যাংকগুলোর ওপর থেকে চীনা ইউয়ানে লেনদেন-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।