জুমবাংলা ডেস্ক : স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর সাথে তার সাবেক প্রেমিক সৈকতের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ঘটনার দিন রুম্পার সাথে সিদ্ধেশ্বরীর সেই ভবনটিতে তাকে ঢুকতে দেখা গেছে বলে জানায় পুলিশ।
ডিবি পুলিশ জানায়, মৃত্যুর দিন সৈকতের সঙ্গে সিদ্ধেশ্বরীর ওই ভবনটিতে ঢুকেছিলেন শারমিন রুম্পা। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, রোববার (৮ ডিসেম্বর) রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় রুম্পার সাবেক প্রেমিক সৈকতকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ আদালতে তোলা হয়। এ সময় সৈকতের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এর আগে, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানী থেকে তাকে আটক করা হয়।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের দুই ভবনের মাঝে রুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদেহ দেখে আশেপাশের লোকজন কেউ চিনতে না পারায়, শনাক্তের জন্য নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়। তার বাবা হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক। বাবা হবিগঞ্জে থাকলেও মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার শান্তিবাগে থাকতেন রুম্পা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রুম্পা দুটি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে তিনি কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরনো স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে বেরিয়ে যান রুম্পা।
রাতে আর বাসায় ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজনসহ স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনেরা রমনা থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন। সূত্র : সময়টিভি অনলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।