জুমবাংলা ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় একটি বাসায় গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে সোনা উদ্দিনের (৪৫) শরীরের ৯৪ শতাংশ, আলি আহমেদের (৬৫) শরীরের ৫৮ শতাংশ, হাসন বানুর (৫৫) শরীরের ৪৬ শতাংশ, সাহেরা বেগমের (২৪) শরীরের ৩০ শতাংশ ও ওমর ফারুকের (১৫) শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ওমর ফারুক বাদে বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘রূপগঞ্জের আউখাবো এলাকায় একটি বাসায় শুক্রবার রাত একটার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে পাঁচজনই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
বিস্ফোরণের বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেশী হরমুজ আলী বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এরপর আগুন লেগে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে রাত সোয়া ১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ হাসুন বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম বলেন, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচতলায় তারা ভাড়া থাকেন। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকানে কাজ করে। এছাড়া, মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী ও ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘রাতে তারা যখন বাসাটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাস লাইন থেকেই এ বিস্ফোরণ ঘটে।’
ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে মধ্যরাতে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসুন বানুর বড় ছেলে গার্মেন্টকর্মী ফরমুজ (২২) ঘটনার সময় বাসায় না থাকায় আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।