জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে প্রাথমিকভাবে অধিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থাকার কারণে তিনটি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে ঘোষণা করা লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই এলাকায় ১৫ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করার কথা থাকলেও চতুর্থ দিনই তা প্রত্যারহার হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বিস্মিত হয়েছে।
রেড জোন হিসেবে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জে তিনটি এলাকাকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এনে গত রবিবার (৭ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে জানান, পরিস্থিতি বিবেচনা করে করোনার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শহরের আমলাপাড়া, জামতলা এবং ফতুল্লার ভূঁইগড়ের রূপায়ন টাউনকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। এই তিনটি এলাককে ১৫২১ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর উপর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। লকডাউন ঘোষিত এলাকার কোনো ব্যক্তি বের হয়ে অন্য এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না এবং অন্য এলাকা থেকেও কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
এরপর দিন সোমবারই তিনটি এলাকায় তা বাস্তবায়নে কার্যকর কোন ব্যবস্থা দেখা যায়নি। তবে পরদিন মঙ্গলবার পুলিশ প্রশাসন তৎপর হয়ে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকা পালন করে।
চতুর্থদিন বুধবার সকাল থেকে কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই লকডাউন প্রত্যাহার হয়ে যায়। পুলিশ নেই এলাকার প্রবেশপথ গুলো বন্ধ করে দড়ি লাঠি ভেঙে পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এমন দৃশ্য দেখে স্থানীয়রাও বিস্মিত হয়ে উঠে।
এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, পরীক্ষামুলক ভাবে নগরীর তিনটি এলাকাকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি ইউনিয়নকে লকডাউন করা হবে। আগামীকাল সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকে জানিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।