জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে দুই সন্তানের জননী তাসলিমা বেগম রেনু হ’ত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি আবু জাফর। অপর তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত শুনানি শেষে আসামি বাচ্চু মিয়া (২৮), শাহিন (৩০) ও সাইদুল ইসলাম বাপ্পির (২১) রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ বাড্ডা থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তাদের।
শনিবার সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপি’টুনিতে হ’ত্যা করা হয় তাসলিমা বেগম রেনুকে। ছেলেমেয়েকে ভর্তির জন্য স্কুলে তিনি খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে গণপি’টুনির শিকার হন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর রেনু দুই সন্তান নিয়ে মহাখালীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় থাকতেন। তার বাবার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের সোনাপুরে।
তদন্ত-সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে জাফর দায় স্বীকার করে বলেছেন, ঘটনার দিন সকালে তিনি স্কুলের অদূরে বাবার খাবার হোটেলে বসেছিলেন। ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে ধরার খবর পেয়ে ছুটে যান স্কুলে। সবাই যখন মারধর করছেন, তখন একজনের কাছ থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে রেনুকে মারধর করেন তিনিও। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজনও রেনুকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেননি বরং সবাই উৎসাহ জুগিয়েছেন। ‘মার মার’ বলে উল্লাস করেছেন।
জাফর খিলক্ষেত রেসিডেন্সিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার বাবার নাম ইয়াসিন পাটোয়ারী। উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে ইয়াসিনের খাবার হোটেলের ব্যবসা রয়েছে। হোটেলের পাশেই তাদের বাসা।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সিসি ক্যামেরা ও ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। প্রধান অভিযুক্ত হৃদয়কেও খোঁজা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।