জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার প্রধান অভিযুক্ত ইবরাহীম হোসেন হৃদয়কে (১৯) পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ন্যাড়া হয়ে ছদ্মবেশ ধারণের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে রেনুকে হ’ত্যার দিন পরা পোশাক নানিকে দিয়েছিলেন পুড়িয়ে ফেলার জন্য। আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।
এরও আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় নানির বাসা থেকে হৃদয়কে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত শনিবার সকালে বাড্ডার ওই স্কুলে নিজের মেয়েকে ভর্তির জন্য তথ্য সংগ্রহ করেতে যান রেনু। এ সময় ছেলেধরা গুঞ্জন উঠলে তিন নারীকে আটক করে স্থানীয়রা। এর মধ্যে দুই নারী পালিয়ে গেলেও গণপিটুনির শিকার হন রেনু। স্থানীয়রা তাকে রড, কাঠ দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে হ’ত্যা করে।
রেনুকে পিটিয়ে হত্যার যেসব ভিডিও এখন পর্যন্ত প্রকাশ হয়েছে, সেখানে তিন/চার তরুণকে নির্মম এই হ’ত্যাকা’ণ্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ছিল নীল টি-শার্ট পরিহিত হৃদয়। হৃদয়ই রেনুকে পিটিয়ে হ’ত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল। রেনু যখন বেধড়ক পিটুনি খেয়ে নিস্তেজ হয়ে স্কুল কম্পাউন্ডে পড়ে ছিল, তখনও থামেনি হৃদয়।
হৃদয় উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ দোকানে সবজি বিক্রি করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। হৃদয়কে নিয়ে সাতজন গ্রেফতার হলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।