জুমবাংলা ডেস্ক: ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষিকা। পড়ানোর বিষয় ছিল রেনেসাঁ। শিক্ষিকা ক্লাসে এক অভাবনীয় কাজ করে বসলেন। তিনি পড়ালেন পর্নোগ্রাফি!
এরপরেই পর্নোগ্রাফির পাঠ দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রেনেসাঁ পড়ানোর সময় ঐ শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীদের পর্নোগ্রাফি বোঝাচ্ছিলেন। তা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা। বিক্ষোভের চাপে অভিযুক্ত স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ফ্লোরিডার তাল্লাহাসি ক্লাসিক্যাল স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা হোপ ক্যারাসকিল্লা। ষষ্ঠ শ্রেণিতে তিনি রেনেসাঁর শিল্পকলা প্রসঙ্গে ক্লাস নিচ্ছিলেন। ইতালীয় শিল্পী মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর বিখ্যাত ‘ডেভিড’ স্থাপত্যের বিষয়ে পড়াতে গিয়ে শিক্ষিকা পর্নোগ্রাফি নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করেন। ছাত্রছাত্রীদের পর্নোগ্রাফি চিনিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ হন অভিভাবকেরা।
অভিভাবকদের একাংশ ঐ ক্লাসের কথা জানতে পেরে প্রতিষ্ঠানের কাছে লিখিত দাবি জানান, এই ধরনের পাঠ দেওয়ার আগে যেন বিজ্ঞপ্তি জারি করে অভিভাবকদের তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রধানশিক্ষিকাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ।
পদত্যাগের পর সংবাদমাধ্যমে শিক্ষিকা জানান, আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে, এই প্রতিষ্ঠানে আমার দীর্ঘ যাত্রা এভাবে শেষ হলো। মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর ‘ডেভিড’ স্থাপত্যে পুরুষের নগ্ন মূর্তি রয়েছে। ১৫০১ থেকে ১৫০৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ঐ স্থাপত্যের নির্মাণ হয়। এই মূর্তিকে কেন্দ্র করে শিল্পের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘ দিনের। ফ্লোরিডার শিক্ষিকা ক্লাসে ‘ডেভিড’ ছাড়াও রেনেসাঁর আরো একাধিক বিখ্যাত স্থাপত্য নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। বিতর্কের মাঝে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।