স্পোর্টস ডেস্ক : আধুনিক প্রযুক্তির ছাপ কাতার বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে রেফারিদের হাতে যে ঘড়ি দেখা যাচ্ছে, তার একেকটির দাম প্রায় ৬ লাখ টাকা।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রেফারিদের ঘড়ি উন্নত হয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে রেফারিরা যে ঘড়ি ব্যবহার করছেন, তাতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। চলতি বিশ্বকাপে ভিআরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সঙ্গে মাঠের রেফারিদের যোগাযোগ হচ্ছে ঘড়ির মাধ্যমে।
রেফারিদের হাতের ঘড়ি শুধু সময় দেখার জন্য নয়। কাতার বিশ্বকাপে রেফারিদের হাতে যে ঘড়ি দেখা যাচ্ছে, তার একেকটির দাম ৬ টাকার মতো। কী আছে সেই ঘড়িতে! এটাই এখন প্রশ্ন সবার মনে।
রেফারিদের ঘড়ি এখন আগের থেকে অনেক উন্নত। বিশ্বকাপে যারা রেফারিং করছেন, তাদের ঘড়িতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে। রেফারিদের ঘড়িতে রয়েছে একাধিক চিপ। যার মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে।
অফসাইড হলে, বল গোল লাইন পেরিয়ে গেলে, ভিআরের রেফারিরা কোনও নির্দেশ দিলে সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ি কেঁপে উঠছে। ঘড়িতে নির্দেশ পেয়ে রেফারিরা খেলা থামিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়া কোনও ফুটবলার সম্পর্কে তথ্য দরকার হলে সেটাও এই ঘড়ির মাধ্যমে পেতে পারেন রেফারিরা।
অনেকদিন ধরেই রেফারিদের ঘড়ি সরবরাহ করে সুইজারল্যান্ডের সংস্থা হাবলট। বাজারচলতি দামি স্মার্টওয়াচ-এর থেকে এই ঘড়িগুলিতে তার থেকেও বেশি প্রযুক্তি রয়েছে। যখন যা তথ্য দরকার, সবই ঘড়িতে পেয়ে যাবেন রেফারিরা।
এই ঘড়ির দাম ৫,৪৮০ ডলার। সাধারণত কালো সেরামিক এবং কালো টাইটানিয়ামের ডায়াল হয়। রেফারিদের পাশাপাশি কাতারে আসা ভিভিআইপি অতিথি এবং প্রাক্তন ফুটবলারদেরও এই ঘড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কোনো মানুষ চাইলেও এই ঘড়ি কিনতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, কাতার বিশ্বকাপে মোট ১২৯ জন ম্যাচ পরিচালক রয়েছেন। তার মধ্যে ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভিআর রেফারি। ৬ জন মহিলা রেফারিও রয়েছেন। প্রত্যেক রেফারিকেই এই বিশেষ ঘড়ি দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।