জুমবাংলা ডেস্ক : ট্রেনটি বিকেল চারটায় ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন স্টেশনে দেরিতে এসে পৌঁছান। এ কারণে পৌনে দুই ঘণ্টা পর ছেড়েছে আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস। গতকাল বুধবার বিকেলে জামালপুর রেলস্টেশনে ঘটেছে এমন ঘটনা।
জানা গেছে, জনসভা শেষ না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে পৌঁছতে পারেনি রেলমন্ত্রী। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেনটি। পরে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে মন্ত্রী স্টেশনে পৌঁছলে ৫টা ৪৫ মিনিটে জামালপুর রেলস্টেশন ছাড়ে তিস্তা এক্সপ্রেস।
এদিকে দেরিতে ট্রেন ছাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে যেখানে যাত্রীসেবা বাড়ানোর কথা সেখানে উল্টো যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘অসুস্থ মাকে নিয়ে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছি। কিন্তু পৌনে দুই ঘণ্টা দেরি হওয়ায় আজকে আর ডাক্তার দেখাতে পারব না।
জামালপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী মিলন বলেন, ‘সকালে আমার একটি চাকরির পরীক্ষা আছে। রাতে পৌঁছতে দেরি হলে সকালে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে সমস্যা হবে।’
জানতে চাইলে জামালপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস চারটায় জামালপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বুধবার ৫টা ৪৫ মিনিটে ছেড়েছে। দেওয়ানগঞ্জ থেকে ৩০ মিনিট দেরিতে ছেড়ে আসার পর জামালপুরে মন্ত্রীর জন্য সেলুন সংযোজন ও তার আগমন উপলক্ষে বিলম্ব হয়েছে।’
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে ঢাকা থেকে ট্রেনে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মতিয়র রহমান তালুকদার স্টেশনে পৌঁছেন রেলমন্ত্রী। সেখানে স্টেশন পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ রেলের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
স্টেশন পরিদর্শন শেষে সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নূরুল ইসলাম সুজন। পরে বিকেলে সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানে জনসভা শেষে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে জামালপুর স্টেশনে যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ৫টা ৩৫ মিনিটে পৌঁছান রেলমন্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।