জুমবাংলা ডেস্ক: ট্রেনে তো আমরা কম বেশি সবাই চড়েছি। ট্রেনে চড়ার সময় বা কখনও ট্রেন লাইন পারাপার করার সময় আমরা অনেকেই ট্রেন লাইনে পাথর বা খোয়া বিছানো দেখেছি। কিন্তু সেগুলো কেন সেখানে থাকে, তার রহস্য জানা আছে কি? এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞান স্টোনস অন রেলওয়ে ট্র্যাকস। রেললাইনের ওপর যে এবড়ো খেবড়ো পাথর বিছানো থাকে, সে পাথরকে একত্রে ব্যালাস্ট বলা হয়। লাইনের দুইপাশে মাটির ওপর বিছনো স্লিপারের মাঝে মাঝে এ পাথর ফেলে রাখা হয়। স্লিপারের ওপর বসানো হয় লোহার পাতের রেললাইন। সেই লোহার পাত ধরে রাখে স্লিপার। তারই ভিত্তি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় পাথর (ব্যালাস্ট স্টোনস)।
এর নেপথ্যে যে কারণ উঠে এসেছে তা হলো, স্লিপারগুলো মোটামুটি আয়তকার হয়। দুই লাইনের মাঝে উল্লম্বভাবে সেগুলো পাতা থাকে। যদিও অতীতে এ স্লিপারগুলো কাঠ দিয়ে তৈরি হতো। বর্তমানে তৈরি করা হয় কংক্রিট দিয়ে। কোনোভাবে যেন স্লিপার নড়ে না যায় এবং এর জেরে ট্রেন চলাচলের সময় লাইন যেন এদিক ওদিক না হয়, তাই এতে পাথর ফেলা হয়। এ পাথর মাটির ওপর শক্তভাবে স্লিপারকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এ পাথর সর্বত্র একই রকমের হয়। নুড়ির মতো, মসৃণ এবং গোলাকার পাথর হলে, তা গড়িয়ে যেতে পারে। ট্রেন যাওয়ার সময় পরস্পরের সঙ্গে ঘষা লেগেও নড়ে যেতে পারে। তাই স্লিপারকে ধরে রাখার জন্য যে সাপোর্টের প্রয়োজন, সেই উদ্দেশ্য সফল হবে না। এছাড়া এবড়ো খেবড়ো পাথরগুলো এক্ষেত্রে খাঁজে আটকে গিয়ে সেঁটে থাকে। নড়ে যায় না। তাই একই রকমের কালো পাথর ব্যবহার করা হয় রেললাইনে।
ট্রেনের ভারী ওজন বইতে এবং একে শুধু সাপোর্ট দেওয়াই নয়, আরো গুণ রয়েছে এ ব্যালাস্ট পাথরের। পাথর বিছানো থাকার ফলে লাইনের ওপর গাছ-গাছালি গজিয়ে উঠতে পারে না। ফলে মাটি নড়বড়েও হয় না। পাথর বিছিয়ে রাখার ফলে বৃষ্টির পানিতে লাইনের নিচের মাটি ভিজে যায় না এবং নরম হয়ে যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।