জুমবাংলা ডেস্ক : রেলপথমন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের কর্মকর্তারা স্লো। এটা আমার জন্য দুঃখজনক।
সোমবার (২০ মে) রেলভবনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রাইটস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী বগি (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কেনার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভারত থেকে যাত্রীবাহী বগি আসা প্রসঙ্গে রেল কর্মকর্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা ভাবে এটা (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) আসতে ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে। সময়ের সঙ্গে আমাদের আরও বগি লাগবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে আপনারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এজন্য ধন্যবাদ। চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সময় উল্লেখ নেই। আগামী দু’মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া যায়, তবে আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলেই হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলসচিব হুমায়ুন কবীর, রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নতুন এ প্রকল্পের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জুলাই, ২০২২ থেকে ৩০ জুন, ২০২৬। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)। এতে করে প্রতিটি বগির দাম আসে ৬ কোটি ৪৯ টাকা। যা দিবে ইআইবি যা ম্যাটিরিয়াল চার্জ। এরপর দেশে বগি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সেটি খালাস বাবদ আরও ৩৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে। এই অর্থ দিবে বাংলাদেশ সরকার। এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০৩ কোটি টাকা।
চুক্তি অনুযায়ী, সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাসের পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে। যা চলবে ৩৬ মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ১৬ মাসের মধ্যে রেলওয়ে এই বগিগুলো পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।