জুমবাংলা ডেস্ক: রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে জনবান্ধব ও আধুনিকায়নের জন্য সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে ৩০ বছর (২০১৬-২০৪৫) মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে।
তারা বলেন, এই কার্যক্রম ৬টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৫,৫৩,৬৬২.০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এর আওতায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের সব রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ এর সিআইসিসি মিলনায়তনে ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রেলওয়ে: চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকারসমূহ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, সড়কের তুলনায় রেলওয়ে একটি পরিবেশ বান্ধব এবং টেকসই পরিবহন মাধ্যম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও রেলসেবা জনগণের চলাচলের মেরুদন্ড হিসেবে পরিচিত হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ মোঃ হুমায়ূন কবীর এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রেলপথ সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, একটি উন্নত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যবস্থাকে তরান্বিত করতে হবে। এজন্য ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নির্ধারিত যে প্রকল্পগুলি রয়েছে সেসব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আমরা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা খাতে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করতে চাচ্ছি। এ কারণে ডাক, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পেতে সজীব ওয়াজেদ জয় এর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি যাত্রীবান্ধব উন্নত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে এবং উন্নত বিশ্বের মতো রেলব্যবস্থাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে নেয়া হবে।
পলক বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে আরও বেশী প্রযুক্তি ও যাত্রীবান্ধব করার জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ ইতিমধ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ খাতকে এগিয়ে নিতে পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরকে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য সংশ্ল্ষিটদের এগিয়ে আসার আহবানও জানান তিনি।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ফরহাদ জাহিদ শেখ।
প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সরকার জনস্বার্থে রেলসেবার মান বাড়াতে ৮ম পঞ্চবাষির্কী পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭৯৮ কি.মি নতুন রেল লাইন নির্মাণ, ৮৯৭ কি.মি ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ, ৮৪৬ কি.মি বিদ্যমান রেললাইন পুনবার্সন ,৯ টি গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু নির্মাণ, লেভেলক্রসিং গেটসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইসিডি নির্মাণ, ওয়ার্কশপ নির্মাণ, ১৬০টি নতুন লোকোমোটিভ, ১৭০৪টি যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ, আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ২২২টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, নতুন আইসিডি নির্মাণসহ রেলওয়ে ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্র্যাক ,সিগনালিং, রোলিং স্টক, রক্ষণাবেক্ষণ ও মানব সম্পদে পরিকল্পিত বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশে রেলওয়ের সম্ভাবনাকে ব্যবহার করতে রেলওয়ে খাতকে যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। রেলওয়ের মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে যে ছয়টি পর্যায়ে উন্নয়ন হবে, তা হলো- রোলিংস্টক প্রকল্প, সিগনাল এবং টেলকম প্রকল্প, ওয়ার্কস প্রকল্প, রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, গেজ রূপান্তর প্রকল্প, ট্রেন পরিচালনায় সহায়তা প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্প। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।