জুমবাংলা ডেস্ক: করোনার কারণে কাজ না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়া ৫০০ ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগ।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের রেশন এবং বেতনের অর্থের মাধ্যমে এই খাবারের ব্যবস্থা করছেন উত্তরা বিভাগের পুলিশের সদস্যরা। এজন্য ৫০০ জন দুস্থ ও অসহায় মানুষকে নির্বাচিত করে প্রত্যেককে টোকেন দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করতে টোকেনের ঠিকানা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, ‘করোনা দুর্যোগের সময় মানুষ হিসেবে আমরা অসহায় মানুষের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী দাঁড়াবার চেষ্টা করছি। এছাড়া খাবারে অভাবে অনেকেই ছোটখাটো অপরাধে জড়াতে পারে, সেজন্য ছিন্নমূল মানুষের জন্য একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করছি। এতে ছিন্নমূল মানুষের উপকারও যেমন হচ্ছে, তেমনি অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করছে।’
পুলিশের উত্তরা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, করোনার এই দুর্যোগের সময় প্রথম দফায় দশ দিন সারা দেশ লকডাউন অবস্থায় আছে। করোনা থেকে সুরক্ষার স্বার্থে সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময়ে ছিন্নমূল মানুষরা সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা খাবার না পেলে চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য অন্তত একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারলে পাশে দাঁড়ানো ও অপরাধ দমন দুই কাজই হবে। তাই উত্তরা বিভাগের ছয়টি থানা এলাকায় একশ জন প্রকৃত অসহায় মানুষের তালিকা করা হয়েছে। প্রতিদিন রান্না করে ছয়টি থানায় একশ জনের খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। থানা থেকে সেই খাবার তালিভুক্তদের কাছে পৌঁছানো হয়।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) হাফিজুর রহমান রিয়েল বলেন, ‘এই দুর্যোগের সময়ে সবারই গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা সাধ্য অনুযায়ী পালনের চেষ্টা করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।