জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরে কচুয়ায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রেহানা বেগম জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের হাত থেকে খাদ্য সহায়তা পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেললেন। জন্ম থেকেই দৃষ্টিশক্তিহীন ৪০ বছরের এই নারী। লোকমুখে পুলিশ আতঙ্কের নানা গল্প শুনেছেন তিনি। কিন্তু পুলিশ মানবিক! এটা তাকে বুঝাতে একটু সময় লেগেছে। যখন জেলা পুলিশ সুপার তাকে বললেন, পরিবারে আর কে আছেন। চলতে বুঝি খুব কষ্ট হয়। এসব কথা শুনে অবাক হলেন, কচুয়া উপজেলার আতিশ্বর গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে-দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই রেহানা বেগম।
শনিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুরের কচুয়া থানা চত্বরে পুলিশের দেওয়া মানবিক খাদ্য সহায়তা নিতে অনেকের সঙ্গে সেখানে হাজির হন তিনিও। রেহানা বেগম জানালেন, চোখের আলো নেই- তাই বিয়েও হয়নি তার। এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে পিতৃহারা দরিদ্র পরিবারের অর্ধহারে অনাহারে জীবন কাটছে তার।
এসময় রেহানা বেগমের মতো দুই শতাধিক দরিদ্র অসহায় পরিবারের সদস্য যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এমন মানুষও ছিলেন। শুধু তাই নয়, ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত সেই মানুষও ছিলেন। যারা করোনার দাপটে এখন কোথাও হাত পেতে সাহায্য নিতে পারছেন না। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি তেল এবং লবণ।
এসব মানুষের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেওয়ার আগে জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, এমন অসহায় মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে করোনার এই কঠিন সময় পাশে দাঁড়ানো পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের সেই চিন্তা থেকেই দরিদ্র অসহায় এবং কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া পুলিশ যে মানবিক তার জানান, দিতেও চাঁদপুরের প্রত্যন্ত জনপদে ছুটে যাচ্ছি। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, প্রয়োজনে আবারো কচুয়ায় এভাবে অসহায় মানুষের পাশে থাকবে পুলিশ।
অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায়, কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতানা খানম, কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ শিক্ষক সন্তোষ চন্দ্র সেন প্রমুখ।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (মিডিয়া) মনিরুল ইসলাম জানান, গত ১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি চাঁদপুরের অন্য থানায়ও অব্যাহত থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।