Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায়:সহজ গাইডলাইন
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায়:সহজ গাইডলাইন

    লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasAugust 21, 202513 Mins Read
    Advertisement

    ধুন্ধুমার কোলাহল ভেদে মাগরিবের আজান। সারা দিনের রোজার পর এক গ্লাস ঠাণ্ডা শরবতের জন্য কণ্ঠ শুকিয়ে আসছে। কিন্তু তৃষ্ণা মেটাতে গিয়ে কি ভুল কিছু খেয়ে ফেলছেন? নাকি সেহরির সময় পেট ভরে খেয়ে পরের দিন অস্বস্তিতে ভুগছেন? রমজান মাসে শারীরিক সুস্থতা ও আত্মিক প্রশান্তি একসাথে ধরে রাখাটাই আসল চ্যালেঞ্জ। এই পবিত্র মাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে ইবাদতের স্বাদ ম্লান হয়ে যায়। তাই রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় জানাটা প্রতিটি রোজাদারের জন্য জরুরি। শুধু উপোস থাকাই নয়, বরং কীভাবে সঠিক পুষ্টি, পর্যাপ্ত পানি ও মানসিক সুস্থতাকে সঙ্গী করে এই মাসকে সার্থক করে তোলা যায়, সেই সহজ গাইডলাইন নিয়েই আজকের এই আলোচনা। ঢাকার ব্যস্ত রাস্তা থেকে শুরু করে গ্রাম বাংলার আঙিনা পর্যন্ত, প্রতিটি রোজাদারের জন্য এই পরামর্শগুলো হতে পারে স্বাস্থ্যকর রমজানের চাবিকাঠি।

    রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায়

    রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায়: সেহরি ও ইফতারের সঠিক খাদ্যাভ্যাস

    রমজানে সুস্থ থাকার ভিত্তি তৈরি হয় সেহরি ও ইফতারের সময় কী খাচ্ছেন তার উপর। এখানে শুধু পেট ভরানো নয়, বরং দীর্ঘ সময় উপোস থাকার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করা এবং তারপর সুষমভাবে পুষ্টি সরবরাহ করাই মুখ্য। আসুন জেনে নিই সেহরি ও ইফতারের সময় খাদ্যতালিকা কেমন হওয়া উচিত:

    • সেহরি: শক্তির ভাণ্ডার গড়ে তুলুন: সেহরি হচ্ছে দিনের মূল জ্বালানি। হালকা ভাবে নেওয়া বা বাদ দেওয়া একেবারেই অনুচিত। রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় এর প্রথম ধাপ হলো পুষ্টিসমৃদ্ধ সেহরি। জটিল শর্করা (Complex Carbohydrates) যেমন: লাল আটার রুটি, ওটস, ব্রাউন রাইস, বার্লি। এগুলো ধীরে ধীরে ভাঙে, রক্তে সুগার স্থিতিশীল রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। ঢাকার পপুলার ডায়েটিশিয়ান ডাঃ তাসনিম জারা বলছেন, “সেহরিতে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ডাল, ডিম, দই, মাছ বা চিকেন রাখুন। প্রোটিন পেশির ক্ষয় রোধ করে ও পূর্ণতার অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী করে।” স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন বাদাম, আভোকাডো বা অলিভ অয়েল যোগ করলে শক্তি মজুত বাড়বে। ফাইবারের জন্য প্রচুর শাকসবজি ও ফল (যেমন কলা, আপেল) রাখুন। জরুরি পরামর্শ: অতিরিক্ত লবণ, চিনি বা তেলেভাজা এড়িয়ে চলুন। এগুলো দিনের বেলায় তৃষ্ণা ও অস্বস্তি বাড়াবে। শেষ মুহূর্তে প্রচুর পানি পান না করে, সেহরির পুরো সময় জুড়ে অল্প অল্প করে পানি খান।

    • ইফতার: ধীরে ধীরে শুরু করুন, ভারসাম্য বজায় রাখুন: সারা দিনের পর ইফতারে ঝাপিয়ে পড়াটা স্বাভাবিক, কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় ভুল। রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ইফতার সঠিকভাবে শুরু করা। আজান শোনার সাথে সাথেই কয়েকটা খেজুর ও এক-দুই গ্লাস পানি দিয়ে দিন শুরু করুন। খেজুর প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার ও পটাশিয়ামের ভালো উৎস, যা রক্তে সুগার দ্রুত স্বাভাবিক করে ও এনার্জি দেয়। তারপর এক বাটি হালকা গরম স্যুপ (যেমন লেন্টিল স্যুপ, овощের স্যুপ) খান। এতে পাকস্থলী সক্রিয় হয় ও হাইড্রেশন শুরু হয়। ইফতারে কী খাবেন:

      • তাজা ফল ও ফলের রস: তরমুজ, বাঙ্গি, শসা, আনার, বেলের শরবত (কম চিনি দিয়ে) ইত্যাদি তৃষ্ণা মেটায় ও ভিটামিন সরবরাহ করে।
      • সবজি: ছোলার সাথে প্রচুর শাকপাতা, কাঁচা শসা, টমেটো, গাজর। সালাদে লেবুর রস ও অল্প অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
      • প্রোটিন: সেদ্ধ ছোলা, গ্রিলড বা বেকড চিকেন/মাছ, দই/ইয়োগার্ট।
      • সীমিত পরিমাণে: পিয়াজু, বেগুনি, জিলাপি (এক বা দুটোর বেশি নয়), চটপটি/ফুচকা (বাসায় তৈরি হলে ভালো)।
      • এড়িয়ে চলুন: কোমল পানীয়, অতিরিক্ত চিনির শরবত, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাপোড়ার ভিড়।
    • ইফতারের পরের খাবার (ডিনার): ইফতারের ১-২ ঘণ্টা পর হালকা ডিনার করুন। ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। সেহরির মতোই এখানেও সুষম খাবার (প্রোটিন + জটিল শর্করা + সবজি) রাখার চেষ্টা করুন। যেমন: ভাত/রুটি + মাছ/ডাল + সবজি তরকারি। চট্টগ্রামের এক অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ ডাঃ ফারহানা ইসলামের মতে, “ইফতারে অনেক কিছু খাওয়ার পর আবার ভারী ডিনার করলে গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ে। হালকা ও সহজপাচ্য খাবারই রমজানে স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম।”

    রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায়: পানিশূন্যতা রোধ ও হাইড্রেশন ম্যানেজমেন্ট

    রমজানে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পানিশূন্যতা (Dehydration)। বিশেষ করে বাংলাদেশের এপ্রিল-মে মাসের প্রচণ্ড গরমে এই সমস্যা প্রকট হয়। রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় এর অপরিহার্য অধ্যায় হলো সঠিক হাইড্রেশন কৌশল:

    • ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি পান: দিনের বেলায় পানি পান করা যায় না বলে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে। লক্ষ্য রাখুন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস (প্রায় ২-২.৫ লিটার) পানি পান করতে। একসাথে অনেক পানি না খেয়ে, ছোট ছোট ঘরে ভাগ করে নিন। প্রতি ঘণ্টায় ১-২ গ্লাস করে পান করুন। মনে রাখবেন, চা-কফি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। তাই এগুলো সীমিত করুন (দিনে ১-২ কাপের বেশি নয়)।

    • পানিসমৃদ্ধ খাবারকে প্রাধান্য দিন: শুধু পানি নয়, খাবারের মাধ্যমেও পানি গ্রহণ বাড়ানো যায়। ইফতারে ও রাতের খাবারে তরমুজ, শসা, টমেটো, লেটুস, লাউ, পেঁপে, আনার, বাঙ্গি, স্ট্রবেরি, কমলা ইত্যাদি ফল ও সবজি রাখুন। এগুলোর উচ্চ পানির পরিমাণ শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে। ডাবের পানি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইটের (পটাশিয়াম, সোডিয়াম) ভালো উৎস, যা ঘামের সাথে হারানো লবণ পূরণে সহায়ক। দই ও লাচ্ছিও হাইড্রেশনে অবদান রাখে।

    • কী করবেন না:
      • অতিরিক্ত লবণাক্ত ও মসলাদার খাবার: চিপস, নোনা বিস্কুট, অতিরিক্ত আচার, ঝাল খাবার ইফতারে এড়িয়ে চলুন। এগুলো তৃষ্ণা বাড়ায়।
      • ক্যাফেইন ও সুগারি ড্রিংকস: কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক, অতিরিক্ত চা-কফি শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। এগুলো পরিহার করাই ভালো।
      • দুপুরের রোদে বেরোনো: সম্ভব হলে সকাল ১০টার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সরাসরি রোদ ও কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। বেরোতেই হলে ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন ও ছায়ায় চলাচল করুন। খুলনা বা রাজশাহীর মতো উষ্ণ অঞ্চলের রোজাদারদের জন্য এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

    রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায়: শারীরিক পরিশ্রম, বিশ্রাম ও মানসিক সুস্থতা

    রোজা শুধু খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনধারা। রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় এর মধ্যে শারীরিক সক্রিয়তা, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্য যত্নও সমান গুরুত্বপূর্ণ:

    • হালকা ব্যায়ামের গুরুত্ব: ধারণা করা হয় রোজায় এক্সারসাইজ করা ক্ষতিকর, কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম শক্তি বাড়ায়, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, মেজাজ ভালো রাখে এবং হজমে সহায়তা করে। তবে সময় ও ধরন ঠিক করতে হবে:

      • সেরা সময়: ইফতারের ১-২ ঘণ্টা পরে (যখন শরীরে শক্তি থাকে) বা সেহরির আগে হালকা এক্সারসাইজ করা যেতে পারে।
      • ব্যায়ামের ধরন: হাঁটা (৩০-৪৫ মিনিট), হালকা স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, খুব হালকা সাইক্লিং বা সাঁতার। ভারী ওজন তোলা, উচ্চ তীব্রতার ইন্টারভাল ট্রেনিং (HIIT) বা দৌড়ানো এড়িয়ে চলুন।
      • শরীরের সংকেত শুনুন: ক্লান্তি, মাথা ঘোরা বা অতিরিক্ত তৃষ্ণা অনুভব করলে ব্যায়াম বন্ধ করুন। সিলেটের ফিটনেস ট্রেইনার সাকিব আহমেদের পরামর্শ, “রমজানে ফিটনেস রুটিনের লক্ষ্য হওয়া উচিত শরীর সচল ও সতেজ রাখা, শক্তি বাড়ানো নয়। লো-ইমপ্যাক্ট কার্যকলাপই যথেষ্ট।”
    • পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুম: রমজানে ঘুমের রুটিন বিঘ্নিত হয় – তারাবির নামাজ, সেহরি ইত্যাদির কারণে। কিন্তু ঘুমের অভাব রোজাদারের জন্য ক্ষতিকর। এটি ক্লান্তি, বিরক্তি, মাথাব্যথা, হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

      • কৌশল: ইফতারের পরপরই কিছুক্ষণ (৩০-৬০ মিনিট) হালকা ঘুম (Power Nap) নেওয়া যেতে পারে। রাতে তারাবির পর দ্রুত ঘুমাতে যান। সম্ভব হলে দিনের বেলা (দুপুরের দিকে) ২০-৩০ মিনিটের একটি ছোট ঘুম (Catnap) নিতে পারেন, বিশেষ করে যারা রাতে কম ঘুমান। ঘুমানোর আগে ভারী খাবার, ক্যাফেইন বা স্ক্রিন টাইম (মোবাইল, টিভি) এড়িয়ে চলুন। শোবার ঘর শীতল, অন্ধকার ও শান্ত রাখুন। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও রমজানে পর্যাপ্ত বিশ্রামের উপর জোর দিয়েছে তাদের গাইডলাইনে।
    • মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা ও আত্মিক সুস্থতা: রমজান মানসিক প্রশান্তি ও আত্মশুদ্ধির মাস। কিন্তু দৈনন্দিন কাজের চাপ, রোজার কষ্ট বা পরিবারের চাহিদা মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় এর অঙ্গ হিসেবে মানসিক সুস্থতা বজায় রাখুন:
      • ধ্যান ও প্রার্থনা: নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির বা মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে ও শান্তি আনতে অত্যন্ত কার্যকর।
      • সামাজিক সংযোগ: ইফতারে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটানো, সামাজিক কাজে অংশ নেওয়া ইতিবাচক অনুভূতি বাড়ায়।
      • বাস্তবসম্মত লক্ষ্য: নিজের ওপর খুব বেশি চাপ দেবেন না। শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী ইবাদত করুন। ভুল হলে হতাশ না হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।
      • ডিজিটাল ডিটক্স: অপ্রয়োজনীয় নেগেটিভ নিউজ বা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং কমিয়ে দিন। মনকে শান্ত রাখুন। মানসিক চাপ বেশি মনে হলে কাছের মানুষের সাথে কথা বলুন বা প্রয়োজনে কাউন্সেলরের সাহায্য নিন।

    বিশেষ স্বাস্থ্য অবস্থায় রোজা: সতর্কতা ও পরামর্শ (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভাবস্থা)

    রমজানে রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় জানাটা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক/আলসার বা গর্ভাবস্থার মতো ক্রনিক বা বিশেষ স্বাস্থ্য অবস্থা আছে। তাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত:

    • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে সুগার অতিরিক্ত কমে যাওয়া), হাইপারগ্লাইসেমিয়া (সুগার বেড়ে যাওয়া) বা ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস (DKA) এর ঝুঁকি থাকে। ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডাঃ শাহজাদা সেলিমের পরামর্শ:

      • রোজা রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিন। চিকিৎসক আপনার ওষুধ/ইনসুলিনের ডোজ ও সময়সূচি রমজান উপযোগী করে পরিবর্তন করবেন।
      • সেহরি ও ইফতারের সময় রক্তে সুগার মাপুন নিয়মিত (বিশেষ করে প্রথম কয়েক দিন)।
      • সেহরিতে জটিল শর্করা ও প্রোটিন খান, ইফতারে সরল শর্করা (খেজুর, ফল) সীমিত করুন।
      • হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ (ঘাম, কাঁপুনি, মাথা ঘোরা, ঝাপসা দেখা) দেখা দিলে সাথে সাথে রোজা ভেঙে ফেলুন এবং চিনি/গ্লুকোজ খান। এতে দেরি করা বিপজ্জনক।
      • ইনসুলিন নেওয়া রোগী, টাইপ ১ ডায়াবেটিস, বারবার হাইপো হওয়ার ইতিহাস থাকলে বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে রোজা না রাখাই উত্তম।
    • উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীদের জন্য:

      • চিকিৎসককে জানান আপনি রোজা রাখতে চান। তিনি ওষুধের সময়সূচি (সাধারণত ইফতার ও সেহরির সময়) ও ডোজ সামঞ্জস্য করবেন।
      • লবণ (সোডিয়াম) গ্রহণ কমানো অত্যন্ত জরুরি। ইফতারে ভাজাপোড়া, আচার, পাপড়, চাটনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার (নুডুলস, চিপস) এড়িয়ে চলুন। রান্নায় লবণ কম দিন।
      • পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (কলা, কমলা, আলু, পালং শাক, টমেটো) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
      • প্রচুর পানি পান করুন (কিন্তু কিডনি রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ মেনে চলুন)।
      • অতিরিক্ত ক্লান্তি বা বুকে ব্যথা অনুভব করলে বিশ্রাম নিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
    • গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য: গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে পুষ্টি ও তরলের চাহিদা অনেক বেশি। রোজা রাখলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ইসলামে গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের রোজা না রাখার অনুমতি আছে। রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করুন। তারা মা ও শিশুর অবস্থা, গর্ভের সময় (প্রথম বা শেষ ট্রাইমেস্টারে ঝুঁকি বেশি), এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য বিবেচনা করে পরামর্শ দেবেন। প্রয়োজনে কাজা রোজা রাখার কথা ভাবা যেতে পারে।

    • অম্বল/গ্যাস্ট্রিক/পেপটিক আলসার: দীর্ঘ সময় পাকস্থলী খালি থাকায় এসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। সেহরি ও ইফতারে ভাজাপোড়া, মসলাদার, অম্লীয় (টক) খাবার, ক্যাফেইন এবং কার্বনেটেড ড্রিংকস এড়িয়ে চলুন। অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করুন। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টাসিড বা অন্যান্য ওষুধ সেবন করতে পারেন। সেহরিতে দই খাওয়া উপকারী হতে পারে। সমস্যা তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    জরুরি সতর্কতা: কোনো বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে রোজা রাখার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। তারা আপনার ব্যক্তিগত অবস্থা অনুযায়ী ঝুঁকি মূল্যায়ন করে উপদেশ দেবেন। চিকিৎসক নিষেধ করলে ধর্মীয় বিধান অনুসারে রোজা না রাখার অনুমতি আছে এবং পরে কাজা আদায় করতে হবে।

    রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায়: সাধারণ সমস্যা ও সমাধান (মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, দুর্বলতা)

    সুস্থ মানুষও রমজানের শুরুর দিকে কিছু সাধারণ শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। এগুলোকে জেনে সামলানো রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় এর অংশ:

    • মাথাব্যথা: ক্যাফেইন গ্রহণ বন্ধ (চা-কফি), পানিশূন্যতা, ঘুমের অভাব, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা স্ট্রেসের কারণে হতে পারে।

      • সমাধান: সেহরি ও ইফতারে পর্যাপ্ত পানি পান। ইফতারের পর ধীরে ধীরে চা/কফি পান করুন (অতিরিক্ত নয়)। পর্যাপ্ত ঘুমান। সেহরিতে জটিল শর্করা ও প্রোটিন রাখুন। মাথাব্যথা শুরু হলে ঠাণ্ডা ও অন্ধকার জায়গায় বিশ্রাম নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল জাতীয় ব্যথানাশক নিতে পারেন (অন্যান্য NSAIDs পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে)।
    • কোষ্ঠকাঠিন্য: কম পানি পান, ফাইবারযুক্ত খাবার কম খাওয়া, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে হয়।

      • সমাধান: ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি ও তরল পান করুন। সেহরি ও ইফতারে প্রচুর শাকসবজি, ফল (পেয়ারা, পেঁপে, বরই, আপেল), লাল আটা/চালের রুটি/ভাত এবং ডাল (উচ্চ ফাইবার) রাখুন। হালকা হাঁটা বা ব্যায়াম করুন। ইসবগুলের ভুসি (পানিতে ভিজিয়ে) খাওয়া উপকারী হতে পারে।
    • দুর্বলতা ও ক্লান্তি: স্বাভাবিক, বিশেষ করে প্রথম কয়েক দিন। কারণ শরীর নতুন রুটিনের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। অপুষ্টি, পানিশূন্যতা বা ঘুমের অভাবেও হতে পারে।

      • সমাধান: সেহরি বাদ দেওয়া যাবে না। পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খান। পর্যাপ্ত পানি পান ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। দিনের বেলায় কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে ছোট ছোট বিরতি নিন। ইফতারের পর হালকা ন্যাপ নিন। রক্তশূন্যতা বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
    • অম্বল ও বদহজম: দ্রুত ও বেশি পরিমাণে ইফতার খাওয়া, ভাজাপোড়া, মসলাদার ও চর্বিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয় পান করার কারণে হয়।
      • সমাধান: ইফতার ধীরে ধীরে শুরু করুন (খেজুর-পানি, স্যুপ)। ভালো করে চিবিয়ে খান। ভাজাপোড়া, ঝাল, টক, চর্বিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয় ও চকোলেট সীমিত করুন। খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না। দই খাওয়া উপকারী। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    এই রমজান মাস জুড়ে আপনার শারীরিক সুস্থতা যেন আত্মিক ইবাদত-বন্দেগীকে পূর্ণতা দান করে, সেটাই হোক আমাদের কামনা। রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় গুলো মেনে চললে ইনশাআল্লাহ এই পবিত্র মাসের প্রতিটি মুহূর্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত ও পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনার সুস্থতাই আপনার পরিবারের জন্য অমূল্য সম্পদ। তাই নিজের যত্ন নিন, সচেতন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, বিশ্রাম নিন এবং বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন। এই রমজান আপনার জন্য হয়ে উঠুক সুস্থতা, শান্তি ও আত্মিক উৎকর্ষের মাস। আমিন।

    জেনে রাখুন (FAQs)

    • প্রশ্ন: রোজায় ওজন কমাতে চাইলে কী করব?

      • উত্তর: রোজায় ওজন কমানো সম্ভব, তবে সতর্কতার সাথে। ইফতারে ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। সেহরি ও ইফতারে প্রোটিন (ডাল, ডিম, মাছ, মুরগি) ও ফাইবার (লাল আটা, শাকসবজি, ফল) বেশি খান, যা পেট ভরা রাখবে ও ক্যালরি কম দেবে। মিষ্টি ফল বা শরবতের বদলে তাজা ফল খান। ইফতারের পর হালকা হাঁটুন। তবে কখনোই সেহরি বাদ দেবেন না বা খুব কম খাবেন না, এতে বিপাক কমে গিয়ে উল্টো ফলাফল হতে পারে। সুষম খাবার ও হালকা ব্যায়ামের উপর ফোকাস করুন।
    • প্রশ্ন: ডায়াবেটিস থাকলে কি রোজা রাখা নিরাপদ? কী কী সতর্কতা মেনে চলব?

      • উত্তর: টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের অনুমতি সাপেক্ষে রোজা রাখতে পারেন, তবে কঠোর মনিটরিং ও সতর্কতা জরুরি। রোজা শুরুর আগে ডাক্তারের সাথে ওষুধ/ইনসুলিনের ডোজ ও সময় ঠিক করুন। সেহরি ও ইফতারের সময় রক্তে সুগার মাপুন। সেহরিতে জটিল শর্করা ও প্রোটিন খান। ইফতারে সরল শর্করা (খেজুর, মিষ্টি) সীমিত করুন। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (সুগার কমে যাওয়া) লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে রোজা ভেঙে ফেলুন ও চিনি/গ্লুকোজ খান। টাইপ ১ ডায়াবেটিস, বারবার হাইপো হওয়া, গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস বা জটিলতা থাকলে রোজা না রাখাই ভালো।
    • প্রশ্ন: রোজায় পানি কম খাওয়ার ফলে কিডনির ক্ষতি হয় কি?

      • উত্তর: সাধারণত সুস্থ কিডনির জন্য রমজানের রোজায় সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকলে (ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করে) ক্ষতির ঝুঁকি কম। তবে যাদের আগে থেকে কিডনির সমস্যা (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ) আছে, তাদের জন্য রোজা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। দীর্ঘ সময় পানিশূন্যতা থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। কিডনি রোগীদের রোজা রাখার আগে অবশ্যই নেফ্রোলজিস্ট (কিডনি বিশেষজ্ঞ) এর পরামর্শ নিতে হবে। তারা রোগীর অবস্থা ও ক্রিয়েটিনিন লেভেল দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন।
    • প্রশ্ন: সেহরিতে কী খেলে সারাদিন তৃষ্ণা কম পাবে?

      • উত্তর: সেহরিতে অতিরিক্ত লবণ, মসলাদার ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলো তৃষ্ণা বাড়ায়। পরিবর্তে পানিসমৃদ্ধ খাবার যেমন তরমুজ, শসা, টমেটো, লেটুস, লাউ, দই ইত্যাদি রাখুন। প্রোটিন (ডিম, ডাল, দই) ও ফাইবার (লাল আটার রুটি, ওটস, শাকসবজি) সমৃদ্ধ খাবার পেট ভরা রাখবে ও শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সেহরির শেষ সময়ে প্রচুর পানি একসাথে পান না করে, পুরো সময় জুড়ে অল্প অল্প করে পানি খান।
    • প্রশ্ন: গর্ভবতী মহিলার রোজা রাখা কি নিরাপদ?

      • উত্তর: গর্ভাবস্থায় মা ও গর্ভের শিশুর পুষ্টি ও তরলের চাহিদা অনেক বেশি। রোজা রাখলে এর ঘাটতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে (অকাল প্রসব, কম ওজনের শিশু জন্ম ইত্যাদি)। ইসলামে গর্ভবতী নারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে রোজা না রাখতে পারেন এবং পরে কাজা আদায় করার বিধান আছে। রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে অবশ্যই আলোচনা করে নিন। তিনি গর্ভকালীন সময় (ট্রাইমেস্টার), মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পরামর্শ দেবেন। সাধারণত প্রথম ও শেষ ট্রাইমেস্টারে রোজার ঝুঁকি বেশি থাকে।
    • প্রশ্ন: রোজায় হজমের সমস্যা (গ্যাস, বদহজম, অম্বল) হলে কী করব?
      • উত্তর: ইফতারে দ্রুত ও বেশি পরিমাণে খাওয়া, ভাজাপোড়া, মসলাদার খাবার, কোমল পানীয় এবং চর্বিযুক্ত খাবার হজমের সমস্যার প্রধান কারণ। সমাধানের জন্য: ইফতার ধীরে ধীরে শুরু করুন (খেজুর, পানি, স্যুপ দিয়ে)। খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান। ভাজাপোড়া, ঝাল, টক খাবার, কোমল পানীয় ও চকোলেট কম খান। ইফতারে দই বা ছোলা রাখুন, এগুলো হজমে সাহায্য করে। খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না। কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। অম্বল হলে এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করতে পারেন। সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    ⚠️ দ্রষ্টব্য: এই আর্টিকেলে প্রদত্ত তথ্য ও পরামর্শ সাধারণ গাইডলাইন হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এটি কোনো চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য পেশাজীবীর সরাসরি পরামর্শের বিকল্প নয়। বিশেষ করে যাদের কোনো ক্রনিক রোগ (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, গ্যাস্ট্রিক/আলসার, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি) আছে, তাদের রোজা রাখার আগে অবশ্যই নিজস্ব চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।**

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    উপায়:সহজ খাবার গাইডলাইন জন্য ঠিক রাখার রোজায় লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য
    Related Posts
    ছাত্রজীবনে পরিকল্পনা

    ছাত্রজীবনে পরিকল্পনা: সাফল্যের মূলমন্ত্র

    August 21, 2025
    dragon

    বাড়ীর ছাদের টবে ড্রাগন ফল চাষের দুর্দান্ত উপায়, হবে বাম্বার ফলন

    August 21, 2025
    পানি বেশি পান করার উপকারিতা

    পানি বেশি পান করার উপকারিতা: সুস্থ থাকুন!

    August 21, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Malaysia 2

    বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে টাকা লাগবে না শ্রমিকদের

    লালমনিরহাট

    লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

    Manikganj

    ডিসির এলআর ফান্ডে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের অনুদান!

    Upodastha

    ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকব না

    বাড়ছে স্ত্রীর দ্বারা স্বামী নির্যাতন, প্রতিকারে নেই আইন

    Malaysia

    মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৯৪ অভিবাসী আটক

    Babydoll Archita Phukan viral video

    Archita Phukan Viral Video: Deepfake Scandal, Survivor Story & Kendra Lust Buzz

    archita archita phukan viral video

    Archita Phukan Viral Original Video: AI Deepfake Scam That Shook Assam and India’s Internet

    Archita Phukan

    Archita Phukan’s Viral Fame Was a Deepfake: How AI Stole Her Identity and Shocked the Internet

    Archita Phukan

    Archita Phukan Viral Videos: The Truth Behind the Online Storm

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.