জুমবাংলা ডেস্ক: এই রমজানে স্কুল-কলেজে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্লাস চলবে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত খোলা থাকবে। শুধু রমজান মাসে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।’
সাধারণত রমজানের প্রায় পুরো সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে, কিন্তু এবার করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এর আগে গত ২৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব নজরুল ইসলামের সই করা অফিস আদেশ ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস চালু রাখার কথা জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাসের বিষয়ে নির্দেশনায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজ নিজ কর্তৃপক্ষকে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সই করা অফিস আদেশে গত ২২ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০ রমজান পর্যন্ত খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সে সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রবিবার হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
করোনা আসার আগে কয়েক বছর রোজায় ক্লাস বন্ধ থাকলেও টানা দুই বছর শিক্ষাঙ্গন বন্ধ রাখার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রোজায় আর ক্লাস বন্ধ রাখতে চায়নি সরকার। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনায় এসে বলেছেন, এখন এক মাস টানা স্কুল বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। তবে তারা ছুটি বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
রমজানে ক্লাস হয় যে রুটিনে
গত ৩১ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক নেহাল আহমেদের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়, রমজানে স্কুল-কলেজে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ঘণ্টা ক্লাস হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, এক শিফটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস চলবে। এ ছাড়া দুই শিফটের প্রতিষ্ঠানে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা ১০ মিনিট এবং দিবা শিফটে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ক্লাস চলবে।
এক শিফটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন পাঁচটি ক্লাস এবং দুই শিফটে চারটি ক্লাস হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ নিজ রুটিন প্রণয়ন করবে বলেও অফিস আদেশে বলা হয়।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।