লাইফস্টাইল ডেস্ক : রোজা রাখলে ক্যান্সারের জীবাণুও মারা যায়। আর এই কারণেই রোজা রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ভার্জিনিয়া টেক থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকুরীরত উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা। ধর্মে বিশ্বাস না রাখলেও নিয়মতি রোজা রাখছেন তিনি। আবাক করার মত হলেও এটি সত্যি।
তার মতে যেটাকে মুসলিমরা রোজা বলেন সেটাকে তিনি বলছেন অটোফেজি। আর এই অটোফেজিতে ক্যান্সারের জীবাণুও মারা যায় বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘তোমরা যাকে রোজা বল, আমি তাকে বলি অটোফেজি। রোজার মাসে খাবার-দাবারের ঝামেলা, তাই এই মাসটা আমি অটোফেজি করি।’ তার মতে, বাংলায় অটোফজি’র অর্থ হচ্ছে আত্মভক্ষণ বা নিজেকে খেয়ে ফেলা। এটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটো ও ফাজেইন থেকে।
২০১৬ সালে প্রথম অটোফেজি শব্দটির আবিষ্কার হয়। জাপানি গবেষক ওশিনরি ওসুমি ওই বছরই রোজার উপর গবেষণা করে ‘অটোফেজি আবিষ্কার করেন। এইজন্য নোবেল পুরস্কারও পান তিনি।
যখন উপবাস বা রোজা রাখ হয় তখন আমাদের শরীরের সক্রিয় কোষগুলো চুপচাপ বসে থাকে না। সারা বছর ধরে তৈরি হওয়া ক্ষতিকারক আর নিষ্ক্রিয় কোষগুলোকে খেয়ে ফেলে তারা। আর এর মাধ্যমে আমাদের শরীরকে নিরাপদ আর পরিষ্কার রাখা হয়। এই পক্রিয়াকেই অটোফেজি বলা হয়।
অটোফেজিতে ক্যান্সারের জীবাণুও মারা যায় এমন কথা শোনার পর শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন এমনকি ধর্ম মান না এমন মানুষরা সারা বছরের বিভিন্ন সময়ে অটোফেজি করে থাকেন। শুধু বিশ্বাসের উপর ভর করে মুসলিমরা রোজা পালন করে আসছেন হাজার বছর ধরে।
অটোফেজির আবিষ্কারক ওসুমি জাপানের নাগরিক। ১৯৬৭ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ও ১৯৭৪ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৪ সাল থেকে পোস্টডক্টরাল ফেলো হিসেবে নিউইয়র্ক সিটির রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরে ১৯৭৭ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী গবেষক হিসেবে যোদ দেন তিনি। ১৯৮৬ সালে নিযুক্ত হন প্রভাষক হিসেবে। সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান ১৯৮৮ সালে।
পরে ১৯৯৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে স্থানান্তরিত হয়ে যান ওকাজাকি সিটিতে অবস্থিত জাতীয় বেসিক বায়োলজি ইনস্টিটিউটে। এছাড়াও তিনি অধ্যাপকের দায়িত্বে ছিলেন হেয়ামার গ্র্যাজুয়েট এডভান্সড স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও। ২০১৪ সালে অবসর নেন তিনি। কিন্তু এরপরেও অধ্যাপকের দায়িত্ব চালিয়ে যান ইনোভেটিভ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও টোকিও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।