জুমবাংলা ডেস্ক: খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ জেলা জয়পুরহাটে আবহাওয়া ভালো থাকায় রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সোনালী শীষের ভারে থোকা থোকা ধান হেলে পড়েছে জমিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জয়পুরহাটে লক্ষ্যমাত্রা ৬৯ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমির বিপরীতে চাষ হয়েছে ৬৯ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ৬৩ হাজার ৬০০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৫ হাজার ২৩৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের এক হাজার ৭০০ হেক্টর। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন।
জেলার পাঁচ উপজেলায় রোপা আমন চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বিএডিসি (বীজ) থেকে উন্নত মানের ধানবীজ সরবরাহ করে কৃষকদের মাঝে। কৃষকরা যথাসময়ে জমি চাষ-বাস দিয়ে প্রস্তুত করে।
আষাঢ় মাসে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হলেও শ্রাবণের ভারি বৃষ্টিপাতে পানির অভাব দূর হয়ে যায়। অনেক এলাকায় কৃষকরা সেচযন্ত্র (গভীর ও অগভীর নলকূপ) ব্যবহার করে জমিতে সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ শুরু করলেও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে পানির আর কোন সমস্যা হয়নি।
কৃষি বিভাগ জানায়, জয়পুরহাটে চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে রোপা আমন চাষ সফল করতে ৪ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়। বীজতলা তৈরিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৩৯ হেক্টর। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় আগাম জাতের রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।