জুমবাংলা ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে ২১ ও ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াত।
আজ (১৫ জুলাই) তিনি ওই ক্যাম্পগুলোর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি ক্যাম্পে অবস্থিত আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের (এপিবিএন) ভবনও ঘুরে দেখেন এবং ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) অফিসের উন্মুক্ত স্থানে বেইলি ফুলের চারা রোপন করেন।
শাহ্ রেজওয়ান হায়াত ব্র্যাকের ওয়াশ, শেল্টার ও শিক্ষা কর্মসূচির আওতাধীন বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে আরও এক দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হবে।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ভাসানচরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যেতে উৎসাহিত করতে তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যারা ভাসান চরে যাবেন, সেই ঘরগুলো খালি থাকা অবস্থায় যেন কেউ দখল করতে না পারে সেজন্য আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া পাহাড় কেটে কোন আশ্রয় শিবির যেন গড়ে না উঠে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প ২১ এর ইনচার্জ সাধনা ত্রিপুরা, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও পত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের সহকারি সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ব্র্যাকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) আওতাধীন ওয়াশ কর্মসূচির প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আফছার আলী, এইচসিএমপি-এর পালংখালির সিনিয়র শাখা ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালামসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার- শাহ রেজওয়ান হায়াত ক্যাম্প ২১-এ অবস্থিত ব্র্যাকের ওয়াশ কর্মসূচির কার্যালয়ে ব্র্যাক কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে ওয়াশ কর্মসূচির উপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন ব্র্যাকের ক্যাম্প-২১ এর সমন্বয়কারী তন্ময় দাশ। এছাড়া শেল্টারের কার্যক্রম নিয়ে আর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন ব্র্যাকের ক্যাম্প অ্যাসিসট্যান্ট টেকনিক্যাল (শেল্টার) স্পেশালিস্ট শামীম আহমেদ।
তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যতটা সম্ভব দোতলা শেল্টার নির্মাণ না করা, শেল্টার নির্মাণে ইটের পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহার, ড্রাম সিট দিয়ে স্থাপনা তৈরিসহ পরিবেশ বান্ধব উপকরণ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আশ্রয় শিবিরের খোলা স্থানে পচনশীল দব্যাদি থেকে যে জৈব সার তৈরি হয়, তা যেন স্থানীয় জনগোষ্ঠী (হোস্ট কমিউনিটি) ব্যবহার করতে পারে, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে এসব কাজে স্থানীয় সম্প্রদায়কে (হোস্ট কমিউনিটিকে) সম্পৃক্ত করতে হবে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াত এইক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও তা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।