জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন। তার নাম অজি উল্লাহ (৩০)। তিনি মিয়ারমারের মংডুর শহরে ইনসং গোদাপাড়া (বতমানে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ই- ব্লকের) বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এসময় তাদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর জ্যাকেট ও র্যাবের শার্ট পাওয়া যায়।
পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত অজি উল্লাহ রোহিঙ্গা ডাকাত জকির আহমদের সেকেন্ড ইন কমান্ড ও তার ভাগিনা। ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর দুটি জ্যাকেট, র্যাবের পাঁচটি শার্ট, ২টি প্যান্ট; আরকান বিজিপির ৫টি শার্ট, ৩টি প্যান্ট; এলজি তিনটি, ৩৬টি খোসা, তাজাগুলি ১০ রাউন্ড, একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ৪টি, খোসা ১টি, একটি ম্যাগজিন ও ২২০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তি তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা ডাকাত। এসময় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম এস দোহা, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিন ও কনস্টেবল খোকন মিয়া আহত হয়েছেন।
শুক্রবার( ০৬ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিবছড়া পাহাড়ের পাদদেশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
তিনি আরও বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া এলাকার পাহাড়ে একদল রোহিঙ্গা ডাকাত অবস্থান করছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম এস দোহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় পুলিশ ও কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করলে উভয় দলের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। অপরাপর ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ওই স্থানে তল্লাশি করে ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর দুটি জ্যাকেট, র্যাবের পাঁচটি শার্ট, ২টি প্যান্ট; আরকান বিজিপির ৫টি শার্ট, ৩টি প্যান্ট; এলজি তিনটি, ৩৬টি খোসা, তাজা গুলি ১০ রাউন্ড, একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ৪টি, খোসা ১টি, একটি ম্যাগজিন ও ২২০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাইমা সিফাত বলেন, শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিসহ চারজনকে হাসপাতালে আনে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তার শরীরে দুইটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত পুলিশের তিনজন সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



