জুমবাংলা ডেস্ক: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার নেপিদোতে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের জায়গায় ফেরার বিষয়ে মিয়ানমার অংশে ‘শূন্য অগ্রগতির’ মাঝেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর ইউএনবি’র।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ‘বিশ্বাসের ঘাটতি’ অন্যতম মূল বিষয় হিসেবে থেকে যাওয়ায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) চতুর্থ বৈঠকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরির চলমান প্রক্রিয়া ‘ত্বরান্বিত’ করার বিষয়ে চাপ দিতে পারে বলে এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাস-তৈরির বিধান হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের রাখাইন রাজ্য সফরের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিতে পারে, যাতে তারা সেখানকার পরিস্থিতি দেখতে পারেন।
সম্প্রতি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করা জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক এবং জরুরি ত্রাণ সমন্বয় দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক বলেন, আত্মবিশ্বাস-তৈরির বিধান, যা দেখে মানুষ বিশ্বাস করত যে ফিরে যাওয়া নিরাপদ, তার ব্যবস্থা করতে মিয়ানমার ব্যর্থ হয়েছে।
চতুর্থ জেডব্লিউজি বৈঠকে অংশ নিতে সচিব-দ্বিপাক্ষিক (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়) মাহবুব উজ জামানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যে মিয়ানমারের রাজধানীতে অবস্থান করছেন।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলেরও সদস্য তিনি ইউএনবিকে বলেন, রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ফেরানোর বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মাঝে যে চুক্তি হয়েছিল তা দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করাই হলো জেডব্লিউজির প্রাথমিক উদ্দেশ্য।
কক্সবাজার জেলায় বসবাস করা রাখাইন রাজ্যের যাচাইকৃত মিয়ানমারের বাসিন্দাদের ফেরানোর সব দিক তত্ত্বাবধান করার জন্য জেডব্লিউজি প্রতিষ্ঠা করা হয়। জেডব্লিউজি তাদের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরেক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য প্রাসঙ্গিক সব বিষয় আলোচনায় আসতে পারে। এক দিনের এ বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অবস্থা, তা এগিয়ে নেয়ার সম্ভাব্য উপায় ও এ সংক্রান্ত বিষয়গুলোও আলোচনা হবে বলে তিনি যোগ করেন।
এর আগে গত বছর ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের তৃতীয় জেডব্লিউজি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন মধ্য নভেম্বর নাগাদ রোহিঙ্গাদের প্রথম দলের প্রত্যাবাসন শুরু করতে দুদেশ একমত হয়। কিন্তু রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় রোহিঙ্গারা ফিরতে না চাওয়ায় ওই পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।