আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির র্যাঙ্কিং মেম্বার গ্রেগরি মিকস বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুর স্থায়ী ও টেকসই সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ ফলপ্রসূ হচ্ছে না রাশিয়া এবং চীনের কারণে। নিরাপত্তা পরিষদে এ দুটি দেশ ভেটো দিয়ে আসছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ জুলাই) নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকায় এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গ্রেগরি মিকস।
তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছর বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশকে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে মজবুত করতে হবে। গণতন্ত্র যথাযথভাবে কাজ করলেই মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন হবে। এ প্রসঙ্গে গ্রেগরি মিকস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়েও নানা প্রশ্নের উদ্রেক ঘটেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগণতান্ত্রিক আচরণে এহেন অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সুসংহত করতে আমরা কাজ করছি নিরন্তরভাবে।
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রভাবশালী সদস্য গ্রেগরি মিকস বলেন, নির্বাচন হচ্ছে জনগণের পছন্দের সরকার গঠনের একমাত্র অবলম্বন। তাই সকলেরই উচিত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহযোগিতা করা। গ্রেগরি মিকস পুনরায় উল্লেখ করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বৈরাচারি আচরণ ও মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গোটাবিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। বাইডেন চেষ্টা করছেন সকল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে। সে অভিপ্রায়ে আমরা ডেমক্র্যাটরা একযোগে কাজ করছি। তাই সামনের বছরের নির্বাচনটি বাংলাদেশের মত যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যালট যুদ্ধে সকল অগণতান্ত্রিক শক্তিকে পরাস্থ করে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করতে হবে।
গ্রেগরি মিকস বলেন, সামনের নির্বাচনে জো বাইডেনকে বিপুল বিজয় দিয়ে গণতন্ত্রকে নাজুক অবস্থা থেকে রক্ষার পথ সুগম করতে হবে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে গ্রেগরি মিকস বলেন, সাফল্যের অনেক গল্প রয়েছে বাংলাদেশের। গত ১৫ বছরে দেশটি নিতান্তই গরিব থেকে মাঝারি আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক পার্টনার। বাংলাদেশে আমরা ইউএসএআইডি অব্যাহত রেখেছি এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ গ্রোয়িং, গেটিং স্ট্রঙ্গার এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অধিষ্ঠিত হচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে খুবই শক্তিশালী ছিল।
গ্রেগরি মিক্স উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আমি সবসময় সোচ্চার রয়েছি। কারণ, সকল দেশের জন্যেই মানবাধিকার সুরক্ষার ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। যেখানেই মানবাধিকারের প্রতি হুমকি দেখি, সেখানেই রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানের ভাইস চেয়ার ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও ডিএনসি মেম্বার নিজাম চৌধুরী। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মধ্যদিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার সংক্ষিপ্ত বিবরণী উপস্থাপন করেন তিনি। মহলবিশেষের রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক অপপ্রচারণায় বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে গ্রেগরি মিকস যাতে বিভ্রান্ত না হন সে আহবান জানান নিজাম চৌধুরী।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ডেমোক্র্যাট নেতা মোর্শেদ আলম তার স্বাগত বক্তব্যে কংগ্রেসম্যানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান সবসময় প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে মনোযোগী থাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।