২০১৯ সালে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি হন সৌরভ গাঙ্গুলি। এরপর ২০২১ সালে সব ফরম্যাটের অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়েন ভিরাট কোহলি। যা নিয়ে হয়েছিল সেসম্য ভারতীয় বোর্ডকে শুনতে হয়েছিল প্রচুর সমালোচনা। কোহলি দাবি করেছিলেন, নেতৃত্ব থেকে সরানোর আগে কোনো আলোচনা করেনি বিসিসিআই। অপরদিকে সৌরভ এবং বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তারা বলেছিলেন ভিন্ন কিছু। সেসময় কোহলির ভক্তরা আঙুল তুলছিলেন সৌরভের দিকেই।
পরবর্তীতে রোহিত শর্মাকে ভারতের নেতৃত্বের ভার তুলে দেন সভাপতি সৌরভ। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত জয়ের পর সেই কথা অনেকেই ভুলে গেছে বলে দাবি করলেন সৌরভ।
রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সৌরভ বলেন, ‘আমি যখন রোহিত শর্মাকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক করেছিলাম, তখন সবাই আমার সমালোচনা করেছিল। এখন যখন রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে,… তখন সবার মুখ বন্ধ হয়েছে। আসলে, আমি মনে করি সবাই ভুলে গেছে যে, আমিই তাকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলাম।’
শুধু রোহিতই নন, রাহুল দ্রাবিড়কে প্রধান কোচ হিসাবে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিপর্যয়ের পর কোচের পদ থেকে রবি শাস্ত্রীও সরে যান। সেই সময়ে সৌরভের তত্ত্বাবধানেই দ্রাবিড় কোচ হিসাবে ভারতীয় দলে যোগ দেন।
এদিকে বিসিসিআইয়ের সভাপতিত্ব ছাড়ার পর আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর বা পরামর্শক হিসেবে যোগ দেন সৌরভ। সম্প্রতি দলের হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রিকি পন্টিং। সে ঘোষণাও দিয়েছেন সৌরভ। জানালেন এবার কিছু জিততে চান দিল্লীর হয়ে।
দলটির জন্য নতুন কোচ খুঁজছেন সৌরভ, ‘আমি পরবর্তী আইপিএলের জন্য পরিকল্পনা করছি। আমি চাই দিল্লি ক্যাপিটালস এবার জিতুক। আমি একজন ভারতীয়কে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলব। আমি হেড কোচ হিসাবে নতুন খেলোয়াড় আনব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।