কক্সবাজারের টেকনাফে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এসে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পর এক ব্যক্তির করোনাভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে। ফলে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা শ্বশুর বাড়িসহ ৮টি বাড়ি ও ৭টি দোকান লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসব বাড়ি ও দোকানগুলো লকডাউন ঘোষণা করেন।
জানা যায়, মো. আক্কাস নামে এক র্যাব সদস্যের শ্বশুর বাড়ি টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ায়। তিনি গত ২০ মার্চ ঢাকা থেকে টেকনাফে তার শ্বশুর আব্দুর রহিম লালাইয়ার বাড়িতে বেড়াতে এসে পাঁচ দিন অবস্থান করেন। সেখানে তার সর্দি, কাশি ও জ্বর দেখা দেয়।
পরে ২৫ মার্চ তিনি ঢাকায় ফিরে যান এবং গত ৩ এপ্রিল আইইডিসিআর এ টেস্টে তার শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়। সংবাদটি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই শুক্রবার রাত ১০টায় টেকনাফে অবস্থিত তার শ্বশুর বাড়ি ও আশপাশের দোকানপাট লকডাউন করে দেন প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় করোনা শনাক্ত র্যাব সদস্যের শ্বশুর বাড়ি টেকনাফে। কিছু দিন আগে সে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়াস্থ শ্বশুর বাড়িতে পাঁচ দিন অবস্থান করে ঢাকায় ফিরে যায়। ঢাকায় গিয়ে টেস্টে তার শরীরে করোনার আলামত পাওয়া যায়। এ কারণে টেকনাফে ওই র্যাব সদস্যের সংস্পর্শে থাকা পৌর এলাকার ৬টি বাড়ি, ৮টি দোকান ও শাহপরীর দ্বীপের একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক বিশ্বাস বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বশুর বাড়ি বর্তমানে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়াতে হলেও তার শ্বশুর আব্দুর রহিম লালাইয়ার পুরাতন বাড়ি ছিল শাহপরীর দ্বীপে। এখনো লালাইয়ার এখানে ব্যবসায় বাণিজ্য রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি তার নতুন বাড়ি থেকে শাহপরীর দ্বীপ আসেন। খবরটি পাওয়ার পর তাকে খোঁজে বের করে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়াতে তার অবস্থান করা ঘরটি লকডাউন করে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।