জুমবাংলা ডেস্ক: র্যাব সেজে টিকটক করতেন ‘টিকটক রাজ’। টিকটকে র্যাবের পোষাক পড়ে নানা উপায়ে নারীদের আকর্ষিত করতেন ‘টিকটক রাজ’ ওরফে আব্দুর রাকিব ওরফে খোকন। বিজিবির ল্যান্স নায়েক পরিচয় দিয়ে প্রচারণা চালতেন র্যাবে প্রেষণে বদলি হয়েছেন বলে। পরিচয়ের সূত্রে শতাধিক মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক করে তারপর ব্ল্যাকমেইলিং করেছেন।
এদিকে তাকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে- গ্রেপ্তারকৃত টিকটক রাজ র্যাব বা বিজিবির সদস্য না। সে এক ভয়াবহ প্রতারক।
র্যাব সেজে টিকটক করে শতাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক করে ব্ল্যাকমেইল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে র্যাবের পোশাক, মোবাইল ফোনসেট, সিমসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রাজ নিজেকে র্যাবের সদস্য পরিচয়ে শতাধিক নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি, ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেলিং-অর্থ আত্মসাতের বহু অভিযোগ রয়েছে। টিকটকার রাজ পেশায় বগুড়ার একটি আবাসিক হোটেলের নিরাপত্তা কর্মী। কিন্তু র্যাবের পোশাক পরে নিজেকে র্যাব-৫ এ কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।
গত দু-বছর ধরে সে টিকটক, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে র্যাবের পরিচয় দিতেন। টিকটকে রাজের ২ মিলিয়নের অধিক ভিউ এবং দেড় মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও নিজেকে উচ্চবিত্ত পরিচয় দিতেন রাজ। এই পরিচয় ফুটিয়ে তুলতে বিভিন্ন আলিশান বাড়ির সামনে ভিডিও তৈরি করতেন তিনি।
কমান্ডার মঈন বলেন, রাজ টিকটকে বিভিন্ন মেয়েদের মধ্য থেকে যারা মূল্যবান অলংকার পরতেন বা অবস্থা সম্পন্ন মনে হতো তাদেরকে টার্গেট করতেন। পরে বিভিন্ন প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে তাদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অলংকার ও অর্থ আত্মসাৎ করতেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি, আগে গার্মেন্টসে কাজ করলেও বর্তমানে বগুড়ায় একটি আবাসিক হোটেলের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করতেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরে গত দেড় বছরে র্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে আরও ৩টি বিয়ে করেছেন তিনি। যদিও পরে তার প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে সবাই তাকে ডির্ভোস দিয়ে চলে যায়।
এছাড়াও শতাধিক নারীকে বিভিন্নভাবে প্রতারিত করেছেন রাজ। কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ধারণ করে মোবাইলে সংরক্ষণ করে এবং ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।
এমনকি তিনি র্যাব-২ এ বদলি হয়েছেন বলে নিজের পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এমন তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভিডিও তৈরি করতে রাজধানী ঢাকায় আসতেন টিকটক রাজ। এর মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.