জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে চলমান লকডাউনে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও শনিবার ঢাকা থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ট্রেন সিলেট গেছে। শনিবার সকালে ঢাকায় যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি সন্ধ্যায় সিলেটে পৌঁছায়।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমান দাবি করেছেন, ট্রেনে কোন যাত্রী ছিল না। রেলওয়ের স্টাফদের নগদ বেতন দেওয়া হয়; যা নিয়ে দুটি বগি ও একটি ইঞ্জিনের ট্রেনটি সকালে কমলাপুর থেকে রওয়ানা হয়ে সিলেটে গেছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি আসার পর অনেক যাত্রীকে বগি থেকে নামতে দেখা গেছে।
সিলেটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে ট্রেনটি প্রশাসনের অনুমতি নিয়েও আসেনি।
তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ট্রেনে যারা এসেছেন, তাদের তালিকা করে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে বলে শুনেছি।
ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ট্রেনটি কিভাবে এসেছে, তা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের। আমাদের কাজ, যারা এসেছেন তাদের তালিকা করে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করা। ট্রেনে কয়েকজন গার্ড ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এলাকায় ট্রেনটি থেমেছিল কি-না, তা খোঁজ নিতে বলেছি।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, রেলওয়ের স্টাফদের বেতনের টাকা নিয়ে একটি ট্রেন এসেছে বলে শুনেছি। কারা এসেছে, তা বিস্তারিত জানি না। ট্রেনে যাত্রী থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সম্ভবত আনসার সদস্য ছিল। বিস্তারিত তথ্যের জন্য তিনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমান দাবি করেন, ট্রেনে ২০-২২ জন রেলের স্টাফ ছিলেন। এদের মধ্যে ১২ জন ভোলাগঞ্জ ও ছাতকে গেছেন। এছাড়া ৪-৫ জন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।