আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করার পর দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশে নিজের বাড়িতে পৌঁছতে ২০০ কিলোমিটার হেঁটেছিলেন যে যুবক, তিনি রাস্তাতেই মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
একজন ডেলিভারি এজেন্ট হিসেবে দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন রণবীর সিংহ নামের ওই যুবক। লকডাউনের ঘোষণার পর চাকরি, আশ্রয় ও অর্থের অভাবের মুখোমুখি যে মানুষরা নিজেদের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করছিলেন রণবীর ছিলেন তাঁদেরই একজন। পথঘাট শুনশান। অগত্যা পায়ে হেঁটেই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে অনেকেই নিজের গন্তব্যে পৌঁছেছেন। রণবীর সিংহও যাত্রা শুরু করেন ৩২৬ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায় নিজের বাড়িতে পৌঁছনোর জন্য।
দীর্ঘ পথ হাঁটতে হাঁটতে উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় এসে হাইওয়ের উপরেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এক স্থানীয় দোকানদার তাঁকে চা ও বিস্কুট খেতে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান রণবীর। তখনও গ্রাম থেকে তাঁর দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার।
শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লির বাস টার্মিনাসে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে নিজেদের বাড়িতে যে করে হোক পৌঁছতে চেষ্টা করছিলেন তাঁরা।
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণা করেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে রুখতে সমস্ত আন্তঃরাজ্য বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দেশজুড়ে রেল চলাচলও। ফলে ভিন রাজ্যে থাকা বহু মানুষই নিজেদের বাড়িতে ফিরতে নিরুপায় হয়ে হাঁটতে বাধ্য হন।
অবশেষে শনিবার উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি সরকারের তরফে বাসের ব্যবস্থা করা হয় ওই যাত্রীদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে। উত্তরপ্রদেশ সরকার আয়োজন করেছে ১,০০০ বাসের। দিল্লি সরকারের তরফেও ব্যবস্থা করা হয় ২০০ বাসের।
লকডাউন ঘোষণা করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই আচমকা এভাবে লকডাউন ঘোষণা করায় বহু মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। খাদ্য ও থাকার জায়গার অভাবে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সরকার অবশ্য এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এমন নয়।
দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়চে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত ১৯। সূত্র : এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।