জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশের সীমিত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনের প্রথম দিন কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে কুমিল্লার প্রশাসন। কুমিল্লায় ঔষুধ দোকান, নিত্যপণ্য দোকানপাট ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট এবং শপিং মল এবং কুমিল্লার ৩টি বাসটার্মিনাল থেকে দুরপাল্লা যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। খোলা রয়েছে নিত্য পণ্যের বাজার। যার ফলে জরুরি প্রয়োজনে যারা বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা ভোগান্তিতে পড়ছেন। স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়ায় স্বল্প দূরত্বে যাচ্ছেন তারা।
লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকায় পালন করছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ। সোমবার (২৮ জুন) সকালে নগরীর কান্দিরপাড়সসহ শহরে আশেপাশে এলাকায় কুমিল্লায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আব্দুর রহিম জেলা নেত্বতৃ করোনাসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আফজল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মোহাম্মদ নাজমুল হাসানসহ প্রমুখ ।
পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো.আব্দুর রহিম বলেন, আমরা পথচারীদের জনসচেতন সৃষ্টি করতে নগরী সহ জেলার প্রতিটি উপজেলা পুলিশ সড়কে সড়কে অবস্থান নিয়েছি। মাস্ক পরিধানে জন্য পথচারী বলছি। এছাড়া শহরে প্রবেশপথ গুলোতে চেক পোস্ট বসিয়ে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া শহরে প্রবেশে নাগরিকদের নিরুৎসাহ করছি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সোমবার সকাল থেকে নগরীর বেশিরভাগ দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং মল বন্ধ রয়েছে। তবে মুদি দোকান, কাঁচা বাজার, মাছের বাজার এবং ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে। সকালের দিকে বাজারঘাটে ভীড় থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাজার ফাঁকা হয়ে গেছে। তবে মাঝে মধ্যে ব্যাটারি চালিত কিছু রিক্সা, অটোরিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়। দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় নামা জনগণ। প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন না পাওয়ায় হেঁটেও গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে। দুর্ভোগের শেষ নেই তাদের।
লকডাউন বাস্তবায়নে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, পরিচয়পত্রসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি ছাড়া কোনও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। নগরীর অভ্যন্তরে জরুরি প্রয়োজনে শুধুমাত্র পায়ে চালিত রিক্সা চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। কুমিল্লায় নিবার্হী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সায়েদ জানান-জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কুমিল্লা নগরীতে কয়েকটি স্থানসহ জেলায় মোট ৭ টি টিম কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।