আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের দিল্লিতে সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল লকডাউনের ঘোষণা দিতেই লম্বা লাইন শুরু হয়েছে রাজধানীর মদের দোকানগুলোতে। দোকান ছেড়ে বাইরে চলে এসেছে লাইন। আর যারা লাইন ধরেছেন, তাদের কারও মুখেই কোনও মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চিহ্ন। লকডাউন শুরু আগেই যে যতটা পারে মদ সংগ্রহের জন্য হামলে পড়েছেন। খবর ইন্ডিয়াটিভি, এই সময়ের।
ভারতে সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিটি রাজ্যেই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। একই সঙ্গে মৃত্যুর মিছিলও। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোকে সচল রাখতে এবং পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দিতে রাজ্য সরকার এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
তবে মদের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন বোধ করছেন। পরিস্থিতি এরকম চললে লকডাউনে কতটা কাজ দেবে, তা নিয়ে সন্দেহ তাদের।
দিল্লির শিবপুরী গীতা কলোনিতে মদের দোকানের বাইরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে এক নারী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এসব ভ্যাকসিন ট্যাকসিনে কিছু হবে না। করোনা যদি কমে তো এই মদেই কমবে। আমি ৩৫ বছর ধরে মদ পান করছি। একদিনের জন্য কোনও ইনজেকশন নিতে হয়নি।
লকডাউনে মদের দোকান বন্ধ রাখায় ক্ষুব্ধ ওই নারী বলেন, এর চেয়ে বরং মদ খেলেই করোনা এভাবে জেঁকে বসতে পারত না।
শুধু ওই নারীই নন, লাইনে দাঁড়ানো সবাই তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
এদিকে রবিবার সংবাদ সম্মেলনে কেজরিওয়াল জানান, পুরো দিল্লিতে আর মাত্র ১০০ আইসিইউ বেড রয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের বন্দোবস্তও নেই। তাই দৈনিক সংক্রমণের চেন ভাঙতেই ১৪৪ ধারার মতো এই লকডাউন জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ১০টা থেকে আগামী সোমবার সকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।