জুমবাংলা ডেস্ক: লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি ছিল শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৫তম নামাজ।
এতে ইমামতি করেন মাওলানা হিফজুর রহমান। নামাজ শেষে করোনামুক্ত পৃথিবী, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ঈদের জামাতকে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় শোলাকিয়া ও আশাপাশের এলাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তাবেস্টনী পার হয়ে মুসল্লিদের ঢুকতে হয় ঈদগাহ মাঠে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হাসিমুখে সহযোগিতা করতে দেখা যায় মুসল্লিদের।
ভোর থেকেই শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আসেন মুসল্লিরা। কেউ গাড়িতে চড়ে, কেউ ইজিবাইকে, কেউ সাইকেলে, কেউবা পায়ে হেঁটে আসেন। সকাল ৯টার আগেই ভরে যায় শোলাকিয়া মাঠ। প্রতিবারের মতো এবারও মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে, অন্যটি ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জে যায়। ঈদগাহ এলাকায় কয়েকটি মেডিক্যাল টিম ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল মোতায়েন ছিল। স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে ছিল বিপুলসংখ্যক স্কাউট সদস্য।
নামাজ শুরুর আগে মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ ও পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ।
ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই প্লাটুন বিজিবি, বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্যের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। একই সঙ্গে মাঠে সাদা পোষাকে নজরদারি করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তাছাড়া মাথার উপরে উড়ে পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা। শোলাকিয়া মাঠ ও শহরসহ প্রবেশ পথগুলো সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। মাঠে স্থাপিত ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে দূরবীন ও স্নাইপার রাইফেল নিয়ে দায়িত্ব পালন করে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। শোলাকিয়া এলাকা ও শহরের যত অলিগলি আছে, সবখানে বসানো হয় নিরাপত্তা চৌকি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।