যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা কিংবা ইউরোপের দেশগুলোর মতো আমাদের বাংলাদেশও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। গবেষণা বলছে, শীতে যতটা পারা যায়, বেশি ঘুমিয়ে নেওয়া ভালো। আপনিও শীতকালে যতটা পারেন বেশি ঘুমানোর চেষ্টা করুন। জার্মানির একটি গবেষণা বলছে, উত্তর গোলার্ধের মানুষ প্রতিবছরের জুন মাসের তুলনায় ডিসেম্বর মাসে গড়ে এক ঘণ্টা বেশি ঘুমান।
এখন প্রশ্ন হলো, রোজকার ব্যস্ত শিডিউলে কীভাবে একটু বেশি ঘুমিয়ে নেবেন? সহজ সমাধান হলো, রাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিছানায় যেতে হবে। ঘুমের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে থেকে তীব্র আলোয় যাবেন না। সন্ধ্যার পর থেকে স্মার্টফোনে হাত না দিলেই সবচেয়ে ভালো হয়। স্মার্টফোনের জ্বলজ্বলে আলো আপনার চোখে ঘুম নামতে বাধা দেবে। প্রতিদিন রাতে তাড়াতাড়ি বিছানায় গিয়ে একটু বেশি ঘুমিয়ে নিলে আপনি দ্রুত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।
বছরের শুরুর দিকে আমাদের দেশে শীতকাল থাকে। শীতকালে যখনতখন শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। সোজা বাংলায় যেটাকে বলে শরীর ম্যাজম্যাজ করা। এর থেকে বাঁচতে পায়ে ম্যাসাজ করা, নাচানো কিংবা আঙুল ফোটানোর মতো কাজগুলো করতে পারেন। এসব কাজ অবচেতন মনেই হয়ে থাকে। তা হলেও এসব ছোট কাজ আমাদের দেহের ক্যালরি ভেঙে মানসিক চাপ কমিয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
শীতের বিকেলে বাইরে বেরিয়ে একটু ব্যায়াম করে আসতে পারেন। এতে আপনার হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকবে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং মেদ ঝরে ওজনও কমে যাবে। পার্কে বা মাঠে গিয়ে ফাঁকা জায়গায় পেছন দিকে বা উল্টো দিকে হাঁটতে পারেন। এটাও একধরনের ব্যায়াম। পেছন দিকে হাঁটলে শরীরে জমে থাকা ক্যালরি বেশি ক্ষয় হয় এবং দেহের পেছন দিকের পেশিগুলো বেশ শক্তিশালী হয়। সেই সঙ্গে হাঁটুর সন্ধির ব্যথা দূর হয়, হ্যামস্ট্রিং নমনীয় হয় এবং মস্তিষ্ক চাঙা থাকে।
ত্বকেরও বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। ময়েশ্চারাইজার লোশন বা সানস্ক্রিন মাখলে শীতে ত্বক সহজে শুষ্ক হয় না। এতে ত্বক থাকবে টান টান, আপনাকে দেখাবেও তরুণ।
জীবনের ছোটখাটো উপলক্ষগুলো উপভোগ করতে শিখুন। ধরুন বিকেলে একটু হেঁটে বেড়ানো, চলার পথে হঠাৎ কোনো আগন্তুকের উপস্থিতি কিংবা গোধূলিতে এককাপ ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দেওয়া—সবকিছুই চাইলে উপভোগ করা যায়। প্রতিদিনের ছোট ছোট বিষয়গুলো উপভোগ করতে পারলে আপনি হবেন আরও সুখী, আরও উদ্যমী। জীবনের মানে খুঁজে পাবেন সহজেই। নতুন কিছু ‘দক্ষতা’ আয়ত্ত করে ফেলতে পারেন। এসবই আপনার মনকে রাখবে শান্ত ও সতেজ।
বন্ধু থাকা ভালো। ভালো বন্ধু আপনার জীবনে ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে। ব্যস্ত জীবনে ভালো ও সুস্থ বন্ধুত্বের সম্পর্ক আমাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দৃঢ় রাখতেও ভূমিকা রাখতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে শেখা যায় অনেক কিছুই। বন্ধুর কোনো ভালো দিক থাকলে তা সহজেই আপনার মধ্যে বিকশিত হতে পারে। তবে ভালো কিছুই গ্রহণ করবেন। খারাপ কোনো কিছুকে কখনোই প্রশ্রয় দেবেন না।
ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসজুড়ে নানা ধরনের উৎসব-আয়োজন লেগেই থাকে। বিশেষ করে এটা বিয়ের মৌসুম। এসব অনুষ্ঠানে হরেক স্বাদের খাবারের আয়োজন থাকে। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় তা কমবেশি খেতে হয়। তবে এসব খাবার একটু ভেবেচিন্তে খেলে স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়। যখনই কোনো খাবার খাবেন, তা যেন সুষম পুষ্টিযুক্ত হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। জাঙ্ক ফুড যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। জাঙ্ক ফুড আমাদের শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর।
খাদ্যতালিকায় শাকসবজি যেন বেশি থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাই বলে শুধু যে সবুজ রঙের শাকসবজিই খাবেন, তা নয়। শাকসবজির সঙ্গে রঙিন সব ফলমূলও তালিকায় রাখুন। এসব সুষম খাবার আপনার মস্তিষ্ক সতেজ রাখবে এবং হৃদ্রোগের হাত থেকেও রক্ষা করবে।
বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করলে শরীরে শক্তি পাবেন। মানসিক স্বাস্থ্যও বেশ ভালো থাকবে। দিনে গড়ে পাঁচ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাস করুন। হেঁটেও শরীর ঠিক রাখা যায়। সুযোগ থাকলে সাইকেলও চালাতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।