আমরা খুব লজ্জা পেলে মাথা নিচু করে ফেলি। বলি ‘লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে’। লজ্জাবতী গাছের পাতায় সামান্য স্পর্শ করলে তার পাতাগুলোও গুটিয়ে যায়। মনে হয় যেন লজ্জা পেয়েছে। আসলে এখানে লজ্জার কোনো ব্যাপার নেই। বাইরের কোনো বস্তুর স্পর্শ লাগলে লজ্জাবতী গাছ বিপদের আশঙ্কায় আত্মরক্ষার জন্য তার পাতাগুলো গুটিয়ে ফেলে।
এর একটা বিশেষ প্রক্রিয়া রয়েছে। লজ্জাবতী গাছ আসলে শক্ত কাণ্ডের কোনো গাছ নয়, এটা একধরনের উদ্ভিদ। খুব নরম ডাঁটি, কোমল পাতা। দেখলেই মায়া হয়। একে কোনোভাবে আঘাত করতে মন চায় না। এদের পাতা ও কাণ্ড খুব স্পর্শকাতর। অন্ধকারে এদের পাতা গুটিয়ে থাকে, দিনের আলোয় সতেজ হয়ে পুরোপুরি খুলে যায়।
কিন্তু বাইরের কোনো কিছুর সামান্য ছোঁয়া লাগলেও স্পর্শকাতর পাতায় একধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে পাতার কোষগুলো পানি ও অন্যান্য তরল পাশের কোষে ঠেলে দেয়। সেখান থেকে তরল পদার্থ সরে যায় পাশের কোষগুলোতে। এভাবে সব পাতা থেকে পানি সরে যায়। তখন পাতাগুলো কুঁকড়ে যায়।
একেই আমরা বলি লজ্জা পেয়েছে। কারণ, একটু ছোঁয়া তো তেমন বড় আঘাত না যে পাতাগুলো এলিয়ে পড়বে। তাই মজা করে আমরা লজ্জা পেয়েছে বলি। আবার কিছুক্ষণ পর বিপদ কেটে গেছে ভেবে পাতাগুলো দুই পাশে বিস্তৃত হয়। আবার মাথা তুলে দাঁড়ায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।