জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিনে তরুণীয় লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এরা হচ্ছেন- লঞ্চের স্টাফ রাসেল খান (২৮), সুজন মোল্লা (২২) এবং মাসুম গাজী (৪২)। এই তিনজনই এমভি আব এ জমজম নামে যাত্রীবাহী লঞ্চে গ্রিজারম্যান।
এদিকে ঘটনার এক দিন পার হয়ে গেলেও পরিচয় মেলেনি তরুণীর। এমনকি সঙ্গী পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিটিরও। মামলা হলে এই তিনজনকে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জনিয়েছেন, নৌ পুলিশ থানার ওসি কবির হোসেন খান।
শুক্রবার দুপুরে তিনি আরো জানান, এমভি আব-এ-জমজম লঞ্চের মালিক পক্ষ বাদী হয়ে মামলা করার কথা রয়েছে। এদিকে, সদর মডেল থানার ওসি মো. নাসিমউদ্দিন জানান, মামলা রুজুর পর তদন্ত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পুলিশ তরুণীর মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু করবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থানকারী এমভি আব এ জমজমের দ্বিতীয় তলার ২৩৫ নম্বর তালাবদ্ধ কেবিন থেকে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় সিআইডি, পিবিআই, নৌ পুলিশ ও জেলা পুলিশ মরদেহ ও ঘটনাস্থলের বিভিন্ন আদালত সংগ্রহ করে। তবে লঞ্চটিতে সিসি ক্যামেরা না থাকায় তরুণীর সঙ্গে কেবিনে অবস্থানকারী এবং পরবর্তীতে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত হবে পারেনি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এমভি আব-এ-জমজম। লঞ্চটি ছাড়ার আগে তরুণীর সঙ্গে আসা ব্যক্তিটি ৭০০ টাকার বিনিময়ে লঞ্চের স্টাফ সুজন মোল্লা থেকে কেবিনটি ভাড়া নেন। তবে লঞ্চটি চাঁদপুর টার্মিনালে পৌঁছালে কেবিনে তালাবদ্ধ করে তরুণীর সঙ্গের ব্যক্তিটি গাঢাকা দেয়। তরুণীর মরদেহের সুরতহালে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে ধর্ষণের পর তরুণীর পড়নের স্যালোয়ারের ফিতা গলায় জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিআইডি এবং পিবিআই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার এবং ক্রাইমসিন থেকে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৬ সালে ঠিক একই লঞ্চের কেবিন থেকে আরেক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনার ৪ বছর পার হলেও এখনো কোনো কূল-কিনারা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, রাজধানী সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে রাতে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বেশকিছু লঞ্চের কেবিনে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা অবস্থান করেন। ভোর রাতে এসব লঞ্চ চাঁদপুরে পৌঁছালে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ফিরে তারা আবার নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যায়।
চাঁদপুরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, রাজধানীর সদরঘাটে এই বিষয় একটু নজরদারি করা হলে হয়তো এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। না হয়, একটার পর একটা ঘটনা ঘটবেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।