জুমবাংলা ডেস্ক : এমভি ইয়াদ লঞ্চের ধাক্কায় পায়ের পাতা কাটা পড়া আট বছর বয়সী শিশু জাইমা নেওয়াজের চিকিৎসার জন্য তিন লাখ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি শিশু জাইমা নেওয়াজের চিকিৎসাসহ তার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
রুলে বিবাদী করা হয়েছে নৌপরিবহন সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, লঞ্চের মালিক মামুনুর রশিদ, প্রথম শ্রেণির মাস্টার আব্দুর রউফসহ সংশ্লিষ্টদের।
রবিবার শিশুটির বাবার করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুরের রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুল হাসান ও শাহীনুজ্জামান শাহীন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান রাষ্টপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তিনি জানান, আদালত রুল জারি করে চিকিৎসার জন্য শিশু জাইমার পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে তিন লাখ টাকা দিতে সাত থেকে ১২ নম্বর বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
‘পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লঞ্চ দুর্ঘটনায় পা হারানো শিশু জাইমার পরিবার’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন।
২০১৮ সালের ২২ মার্চ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এমভি ইয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন অর রশিদ ও তার লোকজনের জীবননাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লঞ্চ দুর্ঘটনায় আহত শিশু জাইমা নেওয়াজ জিসার পরিবার। মামলা তুলে নেয়ার জন্য লঞ্চ মালিক শিশুর বাবা জামাল গাজীকে জীবন নাশ, বাচ্চা অপহরণ ও এসিড ছুড়ে স্বপরিবারে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় শিশু জাইমার মা নাজমুন নাহার বাদী হয়ে সোমবার আমতলী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরোয়ার হোসেনের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।’
মামলার বিবরণ জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ছয় বছরের শিশু কন্যা জাইমা নেওয়াজ জিসা, বাবা জামাল গাজী, মা নাজমুন নাহার ও ছেলে খাঁজা গরীবে নেওয়াজকে নিয়ে ঢাকা থেকে আমতলীতে আসার উদ্দেশ্যে ফতুল্লা লঞ্চঘাটে আসেন। এমভি ইয়াদ লঞ্চটি ফতুল্লা ঘাটে এসে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এতে শিশু জাইমা ছিটকে গিয়ে লঞ্চ ও লঞ্চঘাটের মাঝখানে ডান পা আটকে যায়। এতে শিশু জাইমার ওই পায়ের পাতার সম্মুখভাগ বিছিন্ন হয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।