আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনে ভয়াবহ আকারে বেড়েছে ছুরি দিয়ে সংঘটিত অপরাধের মাত্রা। সাম্প্রতিক সময়ে এই অপরাধের মাত্রা এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, সবসময়ই আতঙ্কের মাঝে থাকতে হচ্ছে লন্ডনবাসীকে। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশই উঠতি বয়সের তরুণ। বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতেও গেল কয়েক মাসে প্রকাশ্যে ছুরি হামলায় কয়েকটি হত্যার ঘটনায় উৎকণ্ঠায় আছেন প্রবাসীরাও।
ছুরি দিয়ে সংঘটিত অপরাধ যা লন্ডনে নাইফ ক্রাইম নামেই পরিচিতি। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত নাইফ ক্রাইমের শিকার হয়ে লন্ডনেই প্রাণ গেছে ৮৮ জনের। সবশেষ গত শনিবার লন্ডনের সাউথহলে খুন হন ষাট বছর বয়সী এক বৃদ্ধ।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে গ্যাং ক্রাইমের রোষানালে পরে প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে খুন হয় বেশ কয়েকজন। এসব ঘটনার পর আতংক বেড়েছে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে।
লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেন, এখানে আমরা সবাই আতঙ্কে রয়েছে বিশেষ করে বাঙ্গালি কমিউনিটিতে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
লন্ডনে পুলিশের সংখ্যা কমানোর ফলে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে অপরাধ, পাশাপাশি অপরাধীরা বয়সে অপেক্ষাকৃত তরুণ হওয়ায় কম সাজা পাচ্ছে। যা নাইফ ক্রাইম বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন এই জনপ্রতিনিধি।
লন্ডনের নিউহ্যাম কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ বলেন, লন্ডনে ইয়াং জেনারেশনের মাঝে অনেক সমস্যা রয়েছে। কর্মসংস্থানের সমস্যা, বেকারত্ব বেড়ে গেছে এবং পরিবারের শান্তি নেই। এই সমস্যাগুলো তাদের অপরাধ করার দিকে ধাবিত করে।
নাইফ ক্রাইম রোধে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। নিরাপদ লন্ডন গড়ার লক্ষ্যে প্রশাসনকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
সহিংস খুনের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিপজ্জনক শহর হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরকেও ছাড়িয়ে গেছে লন্ডন। এ বছর ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে ইতিহাসে প্রথমবারের মত লন্ডনে খুনের হার নিউইয়র্কের চেয়ে বেশি দেখা গেছে।
বহুজাতিক সম্প্রদায়ের শহর লন্ডন। তবে ছুরি দিয়ে সংঘটিত অপরাধের কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই শহরটি। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর নাইফ ক্রাইম বেড়েছে ৮ শতাংশ। পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকলেও ক্রমশই আতংক বাড়ছে লন্ডনবাসীর মাঝে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।