গিলগামেশের মহাকাব্য সাহিত্যের প্রাচীন শাখার মধ্যে একটি। এটির স্টোরি ছিলো গিলগামেশের অমরত্বের কাহিনি নিয়ে। মানুষ সব সময় মৃত্যুকে জয় করার মনের বাসনা পোষণ করেছে। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মকে কেউ উতরে যেতে পারেনি।
বার্ধক্যের ঘটনা ঘটে মূলত সেলুলার স্তরে। কারন সেখানে কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে যায়। লবস্টারের টেলোমারেজ নামক একটি এনজাইম থাকে যা বার্ধক্য রোধ করে থাকে। একজন স্কেলেটন নিয়ে অবস্থান ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকে।
লবস্টারের সত্যিই অমরত্ব না থাকলেও কাছাকাছি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এ ধরনের বৈশিষ্ট্যের আরেকটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল জেলিফিশ টুরিটোপসিস ডহরনি। এ প্রাণীর একটি অভিনব বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হলে তাদের জীবনচক্র পরিবর্তিত হয়ে যায়।
অনেক ক্ষেত্রে জীবন চক্রের মাধ্যমে বিকাশের আগের পর্যায়ে চলে আসে এ প্রজাতির জেলিফিশ। এর ফলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়। তবে প্রকৃতির জগতে অমরত্বের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
তবে বিবর্তনের মাধ্যমে জীবন দীর্ঘায়িত হওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই। বিবর্তনের বিষয়টি এক জেনারেশন থেকে অন্য জেনারেশনে চলে যাওয়ার বিষয়টি মূলত ঘটছে। আমরা সবাই অনন্ত জীবন কামনা করি।
এর পেছনের একাধিক কারণ থাকতে পারে। যেমন মৃত্যুকে ভয় করা অথবা প্রিয়জনদের পেছনে ফেলে যাওয়া ইত্যাদি। আমাদের মৃত্যু হয় বিধায় জীবনে নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় এবং জীবনকে নতুন করে উপভোগ করা সম্ভব হয়।
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয় বলেই আমাদের জীবনের মাধুর্যতা বেড়ে যায়। লবস্টার অথবা জেলিফিশের কথা বলা হোক না কেন প্রকৃত অমরত্ব দুনিয়ার জগতে তেমন পাওয়া যায় না। সম্ভবত মৃত্যু আছে বলেই আমাদের জীবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।