জুমবাংলা ডেস্ক : ‘আমার চোখের সামনেই লাফাইতে লাফাইতে মারা গেল বাচ্চাগুলা। কারও হাত নাই, কারও প্যাট ফাইটা গেছে, কেউ উপুড় হইয়া পইড়া আছে। আমি সিলিন্ডার ফাটা দেইখা, ভ্যান থুইয়া দৌড় মারছি ভাই।’
রূপনগর সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাটি খুব কাছে থেকেই দেখেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী আখ বিক্রেতা মো. শাহীন। তার সঙ্গে কথা হতেই এ কথাগুলো বলেন তিনি।
আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রূপনগর আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাসেল সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলো হলো, রমজান (৮), নুপুর (৭), শাহীন (৯), ফারজানা (৬) ও রিয়া (৭)। বিস্ফোরণে আহত হয় জান্নাত (২৫), জুবায়ের (৮), সাদেকুর (১০), নাহিদ (৭), জামিল (১৪), আরিয়ানসহ (৯) কয়েকজন।
শাহীন বলেন, ‘আমি এই শিয়ালবাড়ী বস্তিতেই থাকি। প্রতিদিন আমি বস্তির সামনে ভ্যানে করে গেন্ডারি বেচি। আমার সামনেই ওই বেলুন ওয়ালা ভ্যান নিয়া আইসা দাড়াইয়া বেলুন ফুলাইতাসিল। ১৪/১৫ টা বাচ্চা হের ভ্যান ঘিরা খাড়াইছিল। কেউ হাতে বেলুন নিসে, কেউ কেউ বেলুন ফুলানো দেখতেছিল। একটু পরে দেখি ওর (বেলুনওয়ালার) সিলিন্ডারের মুখ দিয়া ধোয়া বাইর হইতাসে। তখন বেলুনওয়ালা বোতল থেইকা পানি নিয়া সিলিন্ডারের মুখে ঢালা শুরু করছে। পানি ঢালোনের সাথে সাথেই বিশাল শব্দে সিলিন্ডারটা বাস্ট হইয়া গেল।’
আখ বিক্রেতা শাহীন বলেন, ‘সিলিন্ডার ফাটা দেইখা আমি ভ্যান থুইয়া দৌড় মারছি। স্যার আপনাগোর কাসে অনুরোধ, এই সিলিন্ডার দিয়া বেলুন বেচা সরকার যেন বন্ধ কইরা দেয়।’
এ সময় নিজে বেঁচে আছেন বলে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানান শাহীন। তিনি বলেন, আমি যদি আর একটু থাকতাম তাইলে আমিও লাশ হইয়া পইড়া থাকতাম। আল্লাহ আমারে বাচাইসে।
রুপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ এ ব্যাপারে বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫ জন। তারা সবাই শিশু। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে আরও ১২ জন। অন্য কোনো হাসপাতালে কেউ আছে কি না খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’ সূত্র : আমাদের সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।