জুমবাংলা ডেস্ক: রুই জাতীয় মাছের সাথে মলা-পুঁটি মাছের চাষ করা খুবই লাভজনক। যেসব মাছ পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় ৫–২৫ সে.মি. আকারের হয় সাধারণত সেগুলোকে ছোট মাছ বলা হয়। জলাশয়ের স্বল্পতার কারণে তাই কার্প জাতীয় মাছের সাথে এসব ছোট মাছ চাষ করা যায়।
পুকুর/মৌসুমী জলাশয় নির্বাচন
এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য এটেল কিংবা বেলে দো আশ মাটি সর্বাধিক উপযোগী।
পুকুর/ জলাশয় বন্যামুক্ত এবং মাঝারী আকারের হলে ভালো হয়।
মলা-পুটি মাছ চাষের জন্য সবথেকে খোলামেলা জায়গায় পুকুর তৈরি করা উচি ৎ কেননা পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না
পড়লে মাছের উ ৎপাদন ব্যহত হয়।
পানির গভরীতা ১-১.৫ মিটার হওয়া ভালো।
পুকুর প্রস্তুতিঃ
পাড় মেরামত ও আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
রাক্ষুসে ও ক্ষতিকর প্রাণী অপসারণ করতে হবে।
শতাংশে ১ কেজি করে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
পুকুরে চুন দেয়ার ৭ কিংবা ৮ দিন বাদে প্রতি শতকে ৫০ গ্রাম টিএসপি , ১০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৫-৭ কেজি গোবর দিতে হবে।
পোনা মজুদ, খাদ্য ও সার প্রয়োগঃ
প্রতি শতকে ৩০-৩২টি মাছের পোনা যার আকার হবে ১০-১৫ সেমিঃ এবং ৬০টি মলা ও পুটি মাছ যাদের আকার হবে
৫-৬ সেমিঃ পুকুরে ছাড়তে হবে।
মাছের পোনা মজুদের পরদিন থেকে পোনার দেহের ওজনের শতকরা ৫-১০ ভাগ হারে সম্পুরক খাবার হিসেবে খৈল, কুড়া, ভূষি দেয়া যেতে পারে।
গ্রাস কার্প মাছের জন্য তেমন খাদ্যের দরকার পড়েনা তবে বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ফিস ফিড পাওয়া যায় সেটা দেয়া যেতে পারে। এছাড়াও গ্রাস কার্প মাছ কলা পাতা, নেপিয়ার ঘাস, বাধা কপি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে।
মলা-পুঁটি মাছের জন্য বাড়তি কোন খাবারের দরকার পড়েনা।
মাছ আহরণঃ
পুকুরে পোনা ছাড়ার ২ মাস পর থেকে ১৫ দিন অন্তর কিছু পরিমাণ পুটি ও মলা মাছ সংগ্রহ করতেহবে।
৭৫০-৮০০ গ্রাম থেকে বেশী ওজনের কাতল ও সিলভার কার্প মাছ আহরণ করে সমসংখ্যক ১০-১২ সে.মি. আকারের
পোনা পুনরায় মজুদ করতে হবে।
বছর শেষে চূড়ান্ত আহরণ করা যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।