বিনোদন ডেস্ক : ২০০০ সালে মিস ইউনিভার্স হন লারা দত্তা। এমন খেতাব অর্জনের পর প্রায় সকলেই অভিনয় জগতে সুযোগ পান। লারা দত্তার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি একদম সরাসরি সুযোগ পান হলিউডের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি সিনেমা ‘দ্য ম্যাট্রিক্স’ ছবিতে ২০০১ সালে। তখনও তিনি বলিউডে যাত্রা শুরু করেননি। বলিউড থেকে হলিউডে যান বেশির ভাগ অভিনেতা-অভিনেত্রী। সেখানে প্রথম ছবিই হলিউডে পাওয়ার সৌভাগ্য কয়জনের হয়?
এই ছবি দিয়েই লারা দত্তা নিজের অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারতেন। তা সত্ত্বেও তিনি সেই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কিন্তু এত বড় সুযোগ কেন তিনি হাতছাড়া করলেন? আসলে লারার কাছে পরিবার সবার আগে। নিজের ক্যারিয়ার থেকে তিনি বেশি শুরুত্ব দেন পরিবারকে। সেই কারণেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
লারার মা তখন খুব অসুস্থ ছিলেন। হলিউড সিনেমা থেকে তার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার মা। মা এর দেখাশোনা করবেন বলেই তিনি ফিরে আসেন ভারতে। শুধু সেই সময় নয়, আজও অভিনেত্রীর কাছে পরিবারের গুরুত্বই বেশি। তাই নিজের মেয়েকে বড় করার জন্য তিনি অভিনয় থেকে বিরতি নেন। এই বিষয়ে অবশ্য আরও একটি কারণ উল্লেখ করেছেন লারা। তিনি বলেছেন, নায়কের প্রেমিকা বা স্ত্রীর চরিত্র করতে করতে ক্লান্তও হয়ে পড়েছিলাম সেই সময়।
সেই বিরতির ভেঙে আবার তিনি পেশায় ফিরেছেন অক্ষয় কুমারের ‘বেল বটম’ ছবিতে ইন্দিরা গান্ধির চরিত্রে। এরপর একাধিক ছবি এবং সিরিজের প্রস্তাব এসেছে তার কাছে। জীবনের সেকেন্ড ইনিংসে অভিনয় নিয়ে কথা বলার সময়ে তিনি ‘দ্য ম্যাট্রিক্স’-এর প্রসঙ্গটি জানান।
অভিনয় থেকে বিরতির বিষয়ে তিনি আরও যোগ করে বলেন, আসলে আজ থেকে কয়েক বছর আগে বলিউডে নায়িকার চরিত্র থাকত শুধু ছবির গ্ল্যামার বাড়ানোর জন্যে। তাদের ভূমিকা হত নায়কের সুন্দরী প্রেমিকা বা স্ত্রী হওয়া। তা করতে করতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ছবি করাই কমিয়ে দেই। ভাগ্যিস তখন কয়েকটি কমেডি ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। সাফল্যও এসেছিল। বলিউডে ওইটুকুই আমার ভাল লাগার স্মৃতি।
এই মুহূর্তে আবার অভিনয় জীবনে প্রবেশ করার কারণ তার মেয়ে বড় হয়েছে। স্বামী মহেশ ভূপতির সঙ্গে মিলে মেয়েকে সময় দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেটা দায়িত্ব সহকারে করে এবার আবার পেশায় ফিরেছেন। এখন ছবি বা সিরিজে আকর্ষণীয় চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব পেলেই লারাকে পর্দায় পাবেন তার অনুরাগীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।